চিনির শুল্ক নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা। তিনি বলেন, প্রতি কেজি চিনি আমদানিতে ৪৩ টাকা শুল্ক ও কর দিতে হয়। অথচ ভারতে ৪০ রুপিতে চিনি কেনা যায়। এ ছাড়া অন্যায়ভাবে কোনো ব্যবসায়ীকে মজুতদার বললে মামলা করবেন বলেও তিনি সভায় জানান।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের নেতা সাইফুর রহমানের অভিযোগ, পথে পথে চাঁদাবাজি ও আড়তের বাইরে পণ্য কেনাবেচা নিয়ে। তিনি বলেন, কারওয়ান বাজারে প্রতিদিন তিন লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ কেজি আলু এবং দুই লাখ থেকে আড়াই লাখ কেজি পেঁয়াজ কেনাবেচা হয়। পথে পথে চাঁদাবাজির কারণে ট্রাকভাড়া বেড়ে যায়, বাড়ে সবজির দামও।
সভায় উপস্থিত এস আলম, সিটি, মেঘনা, দেশবন্ধুর মতো বড় শিল্পগোষ্ঠীর কর্মকর্তারা বলেন, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলাসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে। রোজার সময় এসব পণ্যের কোনো রকম সংকট হবে না।
ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন অভিযোগ ও পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানের দেশের অর্থনীতিতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি নেই। এই মুহূর্তে ডলার–সংকট নিরসন ও শুল্ক কমানো কঠিন। তবে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট বন্ধ তুলনামূলক সহজ। চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবসায়ীদের জোরালো অবস্থান নিতে হবে। স্থানীয় বাণিজ্য সংগঠনগুলোর মাধ্যমে চাঁদাবাজির তথ্য সংগ্রহ করে তা সরকারের কাছে দিয়ে রাজনৈতিকভাবে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। আর সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আইন সংস্কার করে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উৎপাদন এবং পণ্য সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। একচেটিয়া ব্যবসা ভাঙতে পারলেই সিন্ডিকেট কমবে।