ঢাকা, ২১ এপ্রিল – নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই অবৈধভাবে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার গ্যাস আমদানি করেছে বিভিন্ন কোম্পানি। এসব গ্যাস এসি ও ফ্রিজের ব্যবহার করা হয়। যে কারণে বিস্ফোরক পরিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক যাচাই বাছাইকৃত না হলে বড় রকমের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে, সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে রিফ্রিজারেন্ট আমদানিকারক ও জড়িত সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ২০ এপ্রিল পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচলক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব ও ব্রামার প্রশাসক তরফদার সোহেল রহমান।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, গত ১২ এপ্রিল পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ২০২৫ সালের এইচএফসি কোটার অনুকূলে রিফ্রিজারেন্ট আমদানি লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স অনুমোদনের আগেই রিফ্রিজারেন্ট আমদানি করে বন্দর থেকে পণ্য খালাস করে। একইভাবে আমদানি করা রিফ্রিজারেন্ট কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্তৃক রিফ্রিজারেন্ট পণ্য খালাসের ডকুমেন্টের সঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর ইস্যুকৃত প্রতিটি রিফ্রিজারেন্ট আমদানি লাইসেন্সের কপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
উক্ত লাইসেন্সে রিফ্রিজারেন্টের ধরণ, অনুমোদনকৃত পরিমাণ, আমদানির মেয়াদকাল উল্লেখ থাকে। যেখানে লাইসেন্সের অনুমোদনকরা হয়নি সেখানে এক্সামিনারসহ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কোনো পদ্ধতি অনুসরণে ১০০ ভাগ এক্সামিনের মাধ্যমে পণ্য ডেলিভারি করা হয়েছে?
এনবিআরের তথ্যানুসারে, গ্যাস আমদানির জন্য ৪৩০টি আবেদনের মধ্যে যাচাই বাছাই শেষে গত ১২ এপ্রিল পরিবেশ অধিদপ্তর ৩০৮টি প্রতিষ্ঠানকে গ্যাস আমদানির লাইসেন্স প্রদান করে। এরমধ্যে অবৈধভাবে পরিমাণের অনেকগুণ বেশি গ্যাস আমদানি করে কিছু কোম্পানি। অনুমোদন ছাড়াই রাফি এন্টারপ্রাইজের (যার কাস্টমস ইনভয়েস নম্বর এসডাব্লিউ ৬২৩২৫০১৪৫) মালামাল ‘শতভাগ পরীক্ষণ পূর্বক’ রিলিজ করেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুল করিম। এতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কোনো অনুমোদন নেই। যা পরিবেশের জন্য ভয়াবহ হুমকি।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ২১ এপ্রিল ২০২৫
