মালদ্বীপের সামারিক ক্ষেত্রে সহায়তা করবে চীন। এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষর হয়েছে।
সোমবার ৪ মার্চ চুক্তি হয়েছে জানিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
সম্প্রতি মালদ্বীপ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে দেশটি থেকে ভারতীয় সেনাকে সরে আসার আল্টিমেটাম দিয়েছে। এর মধ্যেই নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়াতে চীনের সাথে চুক্তি করেছে মালদ্বীপ।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতো দিন পর্যন্ত মালদ্বীপ ভারত থেকে যে সামরিক সহায়তা নিয়ে আসছিল, এবার সেই সহযোগিতার বিকল্প হিসেবে চীনকে বেঁছে নেয়া হয়েছে।
রোববার চীনের আন্তর্জাতিক সামরিক বোঝাপড়া সংক্রান্ত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক তথা মেজর জেনারেল জিয়াং বাওকুনের সঙ্গে বৈঠক করেন মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহম্মদ ঘাসান মামুন। বৈঠকের পর সামরিক বোঝাপড়া নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়।
চুক্তির পাশাপাশি মালদ্বীপকে ১২টি ‘পরিবেশবান্ধব’ অ্যাম্বুল্যান্স উপহার দিয়েছে চীন। গত ২ ফেব্রুয়ারি ভারতে মলদ্বীপ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠক হয়। দুই দেশের মধ্যে দ্বিতীয় শীর্ষ স্তরের বৈঠক ছিল সেটি।
ভারতের সাথে দ্বিতীয় বৈঠকের পর মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১০ মার্চের মধ্যে মালদ্বীপে তিনটি বিমানক্ষেত্রের মধ্যে একটি থেকে সেনা সরাবে ভারত। বাকি দুইটি জায়গা থেকে ১০ মে এর মধ্যে ভারত সেনা সরিয়ে নেবে।
বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের মুখপাত্র রণধীর জায়সওয়াল বলেছিলেন, এখন যারা রয়েছেন মলদ্বীপে, তাদের জায়গায় যোগ্য ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের পাঠানো হবে।