ঢাকা, ১৩ মার্চ – বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘মার্চে বিদ্যুৎ সরবরাহে কিছুটা বিভ্রাট হতে পারে। তবে আমরা আশা করছি বড় সমস্যা হবে না।’ আজ বুধবার বিদ্যুৎ ভবনে রমজান, সেচ মৌসুম ও গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্পে গ্যাস সরবরাহ সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার এক আদেশে বিকেল ৫ টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধের কথা বলা হয়েছিল। আর আগে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ কার্যকর ছিল।
অন্যদিকে, ঈদের আগে পরে ৭ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সিএনজি ফিলিং স্টেশন খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। ১৯ এপ্রিল থেকে পূর্বের অবস্থায় যেতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধের আদেশ বহাল থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০ শতাংশ গ্যাস আমদানি করতাম। একটি এফএসআরইউ নিয়মিত সার্ভিসিংয়ে থাকায় গ্যাস সরবরাহ ১০ শতাংশ কমে গেছে। সার্ভিসিংয়ে থাকা এফএসআরইউ ৩০ মার্চের আগে আসবে না। এতে কিছুটা সংকট রয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেচ মৌসুম শুরু হয়ে আমরা চাচ্ছি রাত ১২-৬টা পর্যন্ত সেচ পাম্প চলবে। এইটা আরও বাড়ানো যায় কি না ভাবা হচ্ছে।’
আবাসিকে গ্যাস সংকট প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে যেহেতু বিকল্প রয়েছে, তাই আপাতত চিন্তা করছি না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বিপিডিবির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানসহ আরও অনেকে।
সূত্র: আমাদের সময়
আইএ/ ১৩ মার্চ ২০২৪