মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের ‘ঝগড়া’ – DesheBideshe

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের ‘ঝগড়া’ – DesheBideshe

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের ‘ঝগড়া’ – DesheBideshe

ওয়াশিংটন, ১০ জানুয়ারি – ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) দখলদকৃত পশ্চিমতীরের রামাল্লায় এ দুজনের বৈঠক হয়।

তবে বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ অ্যারাবিয়া জানিয়েছে, বৈঠকের সময় তাদের দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও ঝগড়া হয়েছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, ঝগড়ার অন্যতম একটি কারণ ছিল— ফিলিস্তিনিরা যেসব ট্যাক্স ইসরায়েলের কাছে দিয়েছে— সেগুলো ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে না দেওয়ার বিষয়টি।

মাহমুদ আব্বাস ব্লিঙ্কেনকে বলেন, যদি সাধারণ ফিলিস্তিনিদের প্রদানকৃত ট্যাক্সের অর্থ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল চাপ দিতে না পারে। তাহলে আর কোনো কিছুতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে চাপ দিতে পারবে— এ বিষয় নিয়ে তাদের সন্দেহ আছে।

তিনি ব্লিঙ্কেনকে বলেন, ‘যদি ট্যাক্সের অর্থ ছাড় করার কোনো সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের না থাকে। তাহলে কীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে আপনারা ইসরায়েলকে চাপ দিতে পারবেন?’

এর জবাবে ব্লিঙ্কেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সরকারে আমূল পরিবর্তন আনার কথা বলেন।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হয়ে ফিলিস্তিনিদের আমদানি ও রপ্তানির ট্যাক্স সংগ্রহ করে ইসরায়েল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে ট্যাক্সের অর্থ প্রদান করা বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।

ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোরিচ বলেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গাজায় ‘এক শেকেলও’ পৌঁছাতে দেবেন না তিনি। মূলত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে কোনো ট্যাক্সের অর্থ তুলে দেবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

শেকেল ইসরায়েলি মুদ্রা হলেও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডগুলোতে পণ্য লেনদেনে এই অর্থ ব্যবহার করা হয়।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ১০ জানুয়ারি ২০২৪

Scroll to Top