সাংহাই থেকে টোকিওগামী জাপান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি প্রায় ২৬ হাজার ফুট উপর থেকে ১০ মিনিটের মধ্যেই নেমে আসে ১০ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায়। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। তাদের জন্য খুলে দেওয়া হয় অক্সিজেন মাস্কও। বিমানের ভেতরে যাত্রীদের অনেকেই ভেবে নিয়েছেন, হয়তো এই যাত্রাই তাদের জীবনের শেষ!
বুধবার (২ জুলাই) সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সূত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উড়োজাহাজটি স্প্রিং জাপান নামে জাপান এয়ারলাইন্সের একটি লো-কস্ট শাখার অধীনে চলছিল। ঘটনার সময় এতে ১৯১ জন যাত্রীসহ ক্রু সদস্যরা ছিল। যান্ত্রিক সমস্যার কারণে মাঝ আকাশে সমস্যায় পড়ে উড়োজাহাজটি। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ওসাকার কানসাই বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করান পাইলট।
শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
হটাৎ চাপের মাত্রার পরিবর্তনের কারণে কিছু লোক জ্ঞান হারাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত অক্সিজেন মাস্ক খুলে ফেলার পর যাত্রীরা আশঙ্কা করেছিলেন যে বিমানটি বিধ্বস্ত হবে। অবতরণের পরপরই তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনাটিকে ‘জীবনের জন্য হুমকি’ বলে বর্ণনা করেছেন।
এমন অভিজ্ঞতার কথা বিশ্লেষণ করে এক যাত্রী বলেন, আমার শরীর এখন এখানে আছে, কিন্তু আমার আত্মা এখনও সাড়া দেয়নি। আমার পা এখনও কাঁপছে। যখন আপনি জীবন বা মৃত্যুর মুখোমুখি হন, তখন অন্য সবকিছু তুচ্ছ মনে হয়।
আরেকজন অবতরণের ঘটনাটিকে ‘আকস্মিক’ উল্লেখ করে বলেন, উড়োজাহাজটি সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রচণ্ডভাবে পড়ে যেতে শুরু করে এবং মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে তিন হাজার মিটারে নেমে যায়।