বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের কেন্দ্রীয় মসজিদে ইফতার কার্যক্রম স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে স্বাক্ষর ছাড়াই মসজিদের দেয়ালে দুইটি স্থগিতাদেশ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। এই স্থগিতাদেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও হাসপাতালের কর্মচারীরা।
মসজিদে টাঙিয়ে দেওয়া স্থগিতাদেশে লেখা আছে, ‘সরকারি বিধি নিষেধ থাকায় অদ্য ১৪ মার্চ থেকে শজিমেক ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে ইফতার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।’
এই স্থগিতাদেশের পর থেকে শজিমেকের শিক্ষার্থী ও হাসপাতাল স্টাফদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এর প্রতিবাদে ক্যাম্পাসের খেলার মাঠে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীরা গণ ইফতার করে।
জানা গেছে, বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটি কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের নিজ অর্থায়নে এইবার রমজানে মাসব্যাপী মুসল্লিদের ইফতার করানোর ঘোষণা দেয়। ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় রমজানে মসজিদে আসা কলেজ শিক্ষার্থী, হাসপাতাল স্টাফ ও সাধারণ মুসল্লীদের ইফতারও করানো হয়। তবে তৃতীয় রমজানে দুপুরের দিকে হঠাৎ সরকারি বিধি নিষেধের কারণ দেখিয়ে ইফতার স্থগিত করা হয়।
শজিমেকের ২৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শহরিয়ার হাসান বলেন, কলেজের শিক্ষক ও হাসপাতাল প্রশাসনের উদ্যােগে পুরো রমজান জুড়েই কেন্দ্রীয় মসজিদে রোজাদারদের জন্য ইফতারের আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে শিক্ষার্থীরাসহ সাধারণ মুসল্লিরা প্রথম দুই রোজায় ইফতারে অংশ নেয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রোজার তৃতীয় দিনের ইফতারে
হঠাৎ সরকারি বিধি নিষেধের কারণ দেখিয়ে স্থগিতাদেশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা সবাই ক্ষোভ জানিয়ে খেলার মাঠে গণ ইফতার করেছে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, মসজিদ কমিটি থেকে মাসব্যাপী ইফতার আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল। উনারাই আবার স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। সরকারি বিধি নিষেধের বিষয়ে কিছু জানিনা।
এ বিষয়ে জানতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাদেকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।