কুষ্ঠ ‘সভ্যতার মতোই প্রাচীন’। প্রান্তিক খেটে খাওয়া ও অপুষ্টিতে আক্রান্ত গরিব মানুষদের জাপটে এখনো এই রোগ টিকে আছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা কুষ্ঠকে ‘নেগলেকটেড ডিজিজ’ বা অবহেলিত রোগব্যাধি হিসাবে ব্রাকেটবন্দী করেছেন। কেন অবহেলিত? বলা যায়, কুষ্ঠ গরিবের রোগ। তাই গরিবের মতো এই রোগও অবহেলিত।
সিলেট বিভাগের সিভিল সার্জন অফিসের হিসাব দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তাদের হিসাব বলছে, কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত মানুষের মধ্যে মৌলভীবাজারে প্রায় ৯৮, সিলেটে ৬৫ ও হবিগঞ্জে ৭২ শতাংশ চা-শ্রমিক পরিবারের। বলা বাহুল্য, এরা ওই অঞ্চলের সবচেয়ে অবহেলিত দরিদ্র জনগোষ্ঠী। মেহেরপুরের গ্রামগুলোতেও গরিব মানুষদের মধ্যেই এই রোগ ছড়িয়েছে বেশি।
চিকিৎসকদের মতে, কুষ্ঠ একটি মৃদু সংক্রামক রোগ, তবে দুর্বল প্রতিরোধক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিরা এ রোগে আক্রান্ত হয় বেশি। দারিদ্র্য, অপুষ্টি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস, প্রচুর আলো-বাতাসের অভাব ইত্যাদি এই রোগ সংক্রমণের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়।




