মক্কা উপত্যকার আশপাশে কিছু কূপ থাকলেও পানির উপযুক্ত দুটি উৎস পাওয়া যায়। মক্কার ৩৫ কিলোমিটার দূরে হুনাইন এলাকা অন্যটি আরাফাহ। প্রচলিত আছে, জুবাইদা ওই দুটি অঞ্চল কিনে নিয়েছিলেন। খাল কাটার জন্য সমগ্র এলাকা জরিপ করা হয়। জরিপের পর প্রকৌশলীরা সিদ্ধান্ত দেন হুনায়ন-পবিত্র মক্কা ও তায়েফের পাহাড়ি এলাকা ঝরনা, যা সেখানকার লোকজনের পানীয় জল, সেচের পানির প্রয়োজন মেটাত, সেখান থেকে খাল কেটে আনা হবে। এই অঞ্চল কঙ্করময়, অনুর্বর ও শুষ্ক। আবহাওয়াও উষ্ণ। তিনি বলেছিলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয় কোদাল এবং শাবলের প্রতিটি আঘাতের জন্য আমি এক দিরদাম (রৌপ্যমুদ্রা) অর্থ পরিশোধ করব।’ বহু বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর অবশেষে এই নহর আরাফাতে নিয়ে আসা হয়, সেখান থেকে মুজদালিফা ও মিনায় আনা হয়।
নহরের একটি শাখা ওয়াদি নোমান থেকে আরাফাত ময়দান এবং অপর শাখা হুনাইন থেকে মক্কা পর্যন্ত খনন করা হয়। পানির সহজলভ্যতা এবং এ খালের রক্ষণাবেক্ষণে প্রতি ৫০ মিটার অন্তর একটি করে কূপ খনন করা হয়। আশপাশের ছোট ছোট পানির উৎসকে এ খালের সঙ্গে যুক্ত করে পানিপ্রবাহ অব্যাহত রাখা হয়। পানি যাতে সুপেয় হয়, তাই সমুদ্র বাদ দিয়ে বিভিন্ন পাহাড়ি ঝরনা ও প্রাকৃতিক উৎস থেকে সেই পানি নহরে প্রবাহিত করা হয়। এতে হাজিদের পাশাপাশি কৃষকদের কষ্টও লাঘব হয়। আরাফাতের ময়দান, মুজদালিফা ও মিনার পাশ দিয়ে প্রবাহিত সেই নহরের স্মৃতিচিহ্ন দেখা যায়।