নয়াদিল্লি, ০৯ আগস্ট – ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেয়াল ধসে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দু’জন শিশু রয়েছে। এছাড়া এই দুর্ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, শুক্রবার রাতভর বৃষ্টিপাতে ধসে যাওয়া দেয়ালের নিচ থেকে কয়েকজনকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। দেয়াল চাপায় নিহতরা দিনমজুর বলে দিল্লি পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ঐশ্বর্য শর্মা জানিয়েছেন।
টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে দিল্লির জৈতপুরের মোহন বাবা মন্দিরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেয়াল ধসের ওই ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের কয়েকজন দেশটির পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের অভিবাসী শ্রমিক।
প্রাথমিকভাবে দিল্লি ফায়ার সার্ভিস দেয়াল ধসে আটজনের মৃত্যুর খবর জানালেও পরে সাত জনের তথ্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়া আহত ব্যক্তি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলেছেন, শুক্রবার সকাল ৯টা ১৬ মিনিটে দেয়াল ধসের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি গাড়ি ও পুলিশ সদস্যদের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর শনিবার দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে ভারী বৃষ্টিপাতের ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছিল। পরবর্তীতে এই সতর্কতা নামিয়ে ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ করা হয়।
কয়েক দিনের বিরতির পর আবারও দিল্লির বেশিরভাগ এলাকায় মৌসুমী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ২ কোটি জনসংখ্যার এই শহরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক সড়ক ডুবে গেছে এবং যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে।
কাজের সন্ধানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অনেক অভিবাসী শ্রমিক রাজধানী দিল্লিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বসতিতে বসবাস করেন। সঠিক নির্মাণ মানদণ্ডে তৈরি না হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদী বৃষ্টিতে এসব বসতিতে প্রায়ই ধসের ঘটনা ঘটে।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ০৯ আগস্ট ২০২৫