বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত এমনটা করলে প্রথমে তার নিজের ভূখণ্ডই বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে। কেননা, বেশির ভাগ বাঁধ পাকিস্তান সীমান্ত থেকে অনেক দূরে। তবে পূর্ব সতর্কতা ছাড়া নিজের জলাধার থেকে কাদামাটি ছেড়ে দিতে পারবে, যা ভাটিতে থাকা পাকিস্তানের বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
হিমালয় থেকে নেমে আসা সিন্ধুর মতো নদীগুলোতে প্রচুর পরিমাণে কাদামাটি থাকে, যা দ্রুতই বাঁধে জমে যায়। এ কারণে হঠাৎ এ কাদামাটি ছেড়ে দিলে ভাটিতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
এখানে আরও একটি বড় বিষয় রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের উজানে রয়েছে চীন আর ভাটিতে ভারত এবং সিন্ধু নদের উৎপত্তি চীনের তিব্বতে।
২০১৬ সালে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা হয়। সেই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছিল ভারত। সেবার ভারত সতর্ক করে বলেছিল, ‘রক্ত ও পানি একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না’। ভারতের এ সতর্কতার পর চীন ইয়ারলুং তাসাংপোর (যা ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র নদ নামে পরিচিত) শাখা নদীর পানি আটকে দেয়।
পাকিস্তানের মিত্র চীন তখন জানায়, তারা একটি পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রয়োজনে এটা করেছে। তবে যে সময়ে চীন এ পদক্ষেপ নেয়, তাতে অনেকেই মনে করেন, চীন এর মাধ্যমে ইসলামাবাদকে সহায়তা করেছিল।
তিব্বতে একাধিক পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের পর ইয়ারলুং তাসাংপো নদীতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দেয় চীন।
বেইজিংয়ের দাবি, এতে পরিবেশগত প্রভাব হবে খুবই কম। তবে ভারতের আশঙ্কা, এর ফলে নদীর ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ অনেক বেড়ে যাবে।