আগামী মাসে শুরু হতে যাচ্ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। ৫৪৩ আসনের এই নির্বাচন হবে ৭টি ভিন্ন ভিন্ন ধাপে। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গে ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে।
শনিবার ১৬ মার্চ হিন্দুস্তান টাইমস’র প্রতিবেদনে বলা হয়, এদিন দিল্লির বিজ্ঞানভবনে দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) রাজীব কুমার ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলবে ৭ দফায়। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের ৩ কেন্দ্রে ভোট। এই কেন্দ্র তিনটি হলো- কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি।
২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় লোকসভা ভোট। দ্বিতীয় দফায় বালুরঘাট, দার্জিলিংয়ে, রায়গঞ্জে ভোট হবে। ৭ মে হবে তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ। এতে মালদা উত্তর, মালদা, দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুরে ভোট হবে।
এছাড়া ১৩ মে চতুর্থ দফা। ২০ মে পঞ্চম দফা। ২৫ মে ষষ্ঠ দফা। ১ জুন সপ্তম দফা।
ভোটগ্রহণ শেষে আগামী ৪ জুন চলবে ভোট গণনা কাজ। লোকসভা ভোটে এবার নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল ভারতের নির্বাচন কমিশন। ১০ মার্চ ২০১৯ সালে ঘোষণা করা হয়েছিল ১৭ তম লোকসভা ভোটের দিন। আর এবার ১৬ মার্চ ঘোষণা করা হল এবারের লোকসভা ভোটের দিন।
এবারের তাফশিল অনুযায়ী উত্তরবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের মাধ্যমে শুরু ২০২৪ সালের নির্বাচন। এমনিতে ২০১৯ সালেও উত্তরবঙ্গের আসনগুলো ছিল বিজেপির কাছে পাখির চোখ। একের পর এক বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা এসেছিলেন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে। ফের এসে গেল লোকসভা ভোট। এবারও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোকে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় টহল দেওয়া শুরু করেছে বলে উল্লেখ করে প্রতিবেদনটিতে।
এবারের ভোটের উত্তরের জেলাগুলোতে ক্ষমতা ধরে রাখা গেরুয়া শিবিরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সেইসাথে বিজেপির কাছ থেকে আসন ছিনিয়ে নেওয়াটাও তৃণমূলের কাছে বড় লক্ষ্য এবার। সেক্ষেত্রে এবার উত্তরবঙ্গে বিজেপি কতটা ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে সেদিকে তাকিয়ে আছে বিভিন্ন মহল। উত্তরের চা বলয়ের প্রতিও বিশেষ নজর রয়েছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, মালদাসহ বিভিন্ন লোকসভা আসনে এবার ভোট কতটা শান্তিপূর্ণ হয় সেটাও দেখার। সেইসাথে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর খাসতালুক দিনহাটার দিকেও বাড়তি নজর থাকবে।