ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে কেরালা সরকার – DesheBideshe

ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে কেরালা সরকার – DesheBideshe

নয়াদিল্লি, ১৭ মার্চ – ভারতের সুপ্রিম কোর্টে সদ্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছে কেরালার রাজ্য সরকার। এর আগেই রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, কেরালায় সিএএ কার্যকর করা হবে না এবং এটাই কেরালা সরকারের অবস্থান।

একই সঙ্গে সিএএকে অবৈধ ঘোষণা করতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন রাজনৈতিক দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের প্রধান ও হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

১১ মার্চ ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিএএ কার্যকরের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তারপরই আইনটি কার্যকরের বিরোধিতায় একাধিক মামলা করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এসব মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে কেরালা সরকার ও আসাদউদ্দিন ওয়াইসি’র আবেদনের শুনানি একসঙ্গে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, সিএএ কার্যকরে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া প্রথম রাজ্য হলো কেরালা। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দপ্তর জানিয়েছে, সংবিধানের ১৩১ ধারার অধীনে এর আগেও এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এবার সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নিতে চলেছে রাজ্য।

কেরালার আইনমন্ত্রী পি রাজীব বলেছেন, সিএএ সংবিধানের মৌলিক নীতি-বিরোধী ও আমরা এর আগে এই আইনটিকে সংবিধান বিরোধী ঘোষণা করার জন্য প্রার্থনা করেছিলাম। এখন আমরা আবারও সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আমাদের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে সুপ্রিম কোর্টে আমাদের সিনিয়র কাউন্সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ও সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছি।

এদিকে, আবেদনে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি জানিয়েছেন, সিএএতে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও, এই আইনের মাধ্যমে আসলে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

সিএএর সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পঞ্জীরও (এনআরসি) বিরোধিতা করেছেন ওয়াইসি। এনআরসি হলো সব ভারতীয় নাগরিকের জন্য একটি পঞ্জী, যা ২০০৩-২০০৪ সালে সংশোধিত হিসেবে নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫-এর মাধ্যমে বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ১৭ মার্চ ২০২৪

Scroll to Top