এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে ভারতের শীর্ষস্থানীয় ৪ টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ।
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার কয়েকটি দেশের কয়েকশ’ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা ভারতীয় সংস্থাগুলোর একটি হলো ‘অ্যাসেন্ড অ্যাভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’। তারা ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে রাশিয়া-ভিত্তিক সংস্থাগুলোতে ৭০০টিরও বেশি চালান পাঠিয়েছে। এসব চালানে দুই লাখ ডলারের বেশি মূল্যের ‘বিশেষ প্রযুক্তি’ আইটেম ছিল। ছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে উৎপাদিত বিমানের উপাদানও।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা আরেকটি ভারতভিত্তিক সংস্থা ‘মাস্ক ট্রান্স’। তারা ২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত রাশিয়া-ভিত্তিক এস ৭ ইঞ্জিনিয়ারিং এলএলসিকে ৩০০,০০০ ডলারেরও বেশি মূল্যের বিমানের উপাদানের মতো ‘বিশেষ প্রযুক্তি’ আইটেম সরবরাহের সঙ্গে জড়িত। যুক্তরাষ্ট্র ‘টিএসএমডি গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের এরেকটি ভারত-ভিত্তিক সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে। তারা রাশিয়াভিত্তিক সংস্থাগুলোতে কমপক্ষে ৪৩০০০০ ডলার মূল্যের ‘বিশেষ প্রযুক্তি’ আইটেম পাঠিয়েছে।
এছাড়া ‘ফুত্রেভো’ নামক ভারত-ভিত্তিক আরেকটি সংস্থা নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে। রাশিয়াভিত্তিক বিশেষ প্রযুক্তি কেন্দ্রের সাথে ১.৪ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের ‘বিশেষ প্রযুক্তি’ আইটেম সরবরাহের সাথে জড়িত এই প্রতিষ্ঠান।
যুক্তরাষ্ট্র ১২টিরও বেশি দেশের প্রায় ৪শ’ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে ভারত ছাড়াও রাশিয়া, চীন, হংকং, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা দেশগুলোর সরকার ও বেসরকারি খাতগুলোকে সতর্ক বার্তা দিবে। বার্তাটি হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের নিষেধাজ্ঞাগুলো উপেক্ষা করলে তা মোকাবেলা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রুশ সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।