ভারতের রাজ্যসভার সাংসদ পদে শিক্ষাবিদ ও লেখক সুধা মূর্তিকে মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূ।
শুক্রবার ৮ মার্চ নারী দিবসে নিজের সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ সুধা মূর্তিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, সংসদের উচ্চকক্ষে সুধা মূর্তির উপস্থিতি আমাদের নারী শক্তির ক্ষেত্রে শক্তিশালী পদক্ষেপ। সাংসদ হিসাবে তার সময়কালের জন্য অভিনন্দন জানাই।
রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হওয়ার খবর পাওয়ার পর সুধা মূর্তি বলেছেন, কাজের জন্য আরও বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম পেলাম। আমি অত্যন্ত খুশি। নারায়ণ মূর্তি ও সুধার দুই সন্তান। রোহন ও অক্ষতা। অক্ষতার স্বামী ঋষি সুনাক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
সুধা মূর্তি বলেন, নতুন সংসদ ভবন খুব সুন্দর। ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমি অনেকদিন ধরে এখানে আসতে চেয়েছিলাম। ঘুরে দেখতে চেয়েছিলাম। স্বপ্ন যেন সত্যি হলো। ভারতের সংস্কৃতি, শিল্পকলা, ইতিহাস, খুব সুন্দরভাবে এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সমস্তটাই খুব সুন্দর।
সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সুধা মূর্তি। ১৯৯৬ সালে তিনি ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া গেটস ফাউন্ডেশনের সদস্য তিনি। কর্ণাটকে তিনি একাধিক অনাথাশ্রম খুলেছেন।
এছাড়া এই রাজ্যের গ্রামে গ্রামে বহু উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত। সুধা মূর্তি ২০০৬ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। ২০২৩ সালে তাকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করে মোদি সরকার।
১৯৫০ সালে ১৯ অগস্ট কর্নাটকে জন্মগ্রহণ করেন সুধা। নারায়ণ মূর্তির স্ত্রী তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন টাটা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড লোকোমোটিভ কোম্পানিতে। বেঙ্গালুরুর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসাবেও কাজ করেছেন সুধা। কন্নড়, মারাঠি, ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় তার ৪০টির বেশিও বই আছে।