আবুধাবি, ২৩ ফেব্রুয়ারি – দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাইভোল্টেজ ম্যাচ। গ্যালারি কানায় কানায় পরিপূর্ণ। দর্শকদের উন্মাদনার ছিল না কোনও কমতি। এই ম্যাচে মাঝের দিকে দারুণভাবে পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়ালেও স্কোরবোর্ডে তেমন পুঁজি তুলতে পারেনি। ভারত তাদের ২৪১ রানে অলআউট করেছে।
ভারতের বিপক্ষে দুই ওপেনারকে কম সময়ের ব্যবধানে হারিয়ে পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। সৌদ শাকিলকে নিয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান জুটি লম্বা করতে চেয়েছিলেন। ভারতের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরির পথে ছিলেন অধিনায়ক। হার্ষিত রানা তার ক্যাচ মিস করায় ৪৪ রানে জীবন পান রিজওয়ান। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
অক্ষর প্যাটেলের বলে রিজওয়ান ফিরতেই এলোমেলো পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। ভারতীয় স্পিনারের বলে আর কোনও রান যোগ না করেই বোল্ড রিজওয়ান।
পরের ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে অক্ষরের ক্যাচ হন শাকিল। ৭৬ বলে ৬২ রান করেন তিনি। ৩৭তম ওভারে রবীন্দ্র জাদেজার বলে সেট হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়েন তৈয়ব তাহির (৪)।
২ উইকেটে ১৫১ রান করা পাকিস্তানের স্কোর ৫ উইকেটে ১৬৫।
এর আগে দলীয় ৪১ ও ৪৭ রানে দুই ওপেনার বাবর আজম ও ইমাম উল হককে হারায় পাকিস্তান। রিজওয়ান ও শাকিলের ১০৪ রানের জুটি ভেঙে আবার বিপদে পড়ে তারা।
ডেথ ওভারে ঘূর্ণি জাদু দেখান কুলদীপ যাদব। ৪৩তম ওভারে সালমান আগা ও শাহীন শাহ আফ্রিদিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেছিলেন তিনি। নাসিম শাহ উইকেট ধরে রেখে তাকে হতাশ করেন।
অবশ্য ভারতীয় স্পিনার এক ওভার বিরতি দিয়ে নাসিমকে ফেরান। শেষের আগের ওভারে খুশদিল শাহ ও হারিস রউফ দুটি বড় ছক্কা মেরে আড়াইশ রানের সম্ভাবনা তৈরি করেন। ওই ওভারে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রউফ রান আউট হন।
শেষ ওভারে কোনও রান না নিয়ে বাকি উইকেট হারায় পাকিস্তান। হার্ষিতের ওভারে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে ডিপ মিড উইকেটে টপ এজ হয়ে বিরাট কোহলির ক্যাচ হন খুশদিল। ৩৯ বলে ২ ছয়ে ৩৮ রান করেন তিনি।
কুলদীপ ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পাওয়া মোহাম্মদ শামি ৮ ওভার বল করে ৪৩ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। হার্দিক পান দুটি উইকেট।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
আইএ/ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫