এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
সোর্স: ডয়চে ভেলে
মুম্বাইয়ের উপকূলে ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি স্পিডবোটের সঙ্গে যাত্রীবাহী একটি লঞ্চের সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছে।
ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুম্বাইতে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার ফেরিঘাট থেকে ১১০ জন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল লঞ্চটি। সেই সময় নৌবাহিনীর একটি স্পিডবোট লঞ্চটিতে ধাক্কা মারে।
জানা গেছে, এই স্পিডবোটের ইঞ্জিনের ট্রায়াল চলছিল। সেসময় স্পিডবোটের নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয়নি। তা গিয়ে লঞ্চে ধাক্কা মারে। নৌবাহিনী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় ১৩ জন মারা গেছেন। তার মধ্য়ে ১০ জন লঞ্চের যাত্রী, একজন নৌবাহিনীর অফিসার, দুইজন স্পিডবোটের যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী সংস্থার কর্মী। লঞ্চের একশজন যাত্রী ও নৌবাহিনীর স্পিডবোটের দুইজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
নৌবাহিনীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যাত্রবাহী লঞ্চের নাম ছিল ‘নীলকমল’। চারটার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্পিডবোটটি লঞ্চে ধাক্কা মারে।
দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পরে আপলোড করা ভিডিওতে দেখা গেছে, স্পিডবোটটি গিয়ে লঞ্চে ধাক্কা মারছে। ওই লঞ্চটি গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া থেকে এলিফ্য়ান্টা দ্বীপে যাচ্ছিল। প্রতিদিনই এলিফ্যান্টা দ্বীপে পাহাড় কেটে বানানো গুহা দেখতে প্রচুর মানুষ যান। মুম্বাইয়ের অন্যতম পর্যটনস্থল এই এলিফ্যান্টা গুহা। তাই লঞ্চগুলোতে প্রচুর পর্যটকও থাকেন।
দুর্ঘটনার পরই নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী, পুলিশ ও স্থানীয় মৎস্যজীবীরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। চারটি হেলিকপ্টারকেও কাজে লাগানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনায় তিনি মর্মাহত। নিহতদের পরিবারকে শোক জানিয়েছেন তিনি। আহতদের দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবারকে দুই লাখ টাকা দেয়ার কথাও জানানো হয়েছে। এছাড়া মহারাষ্ট্র সরকার মৃতের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে।