আজ দুপুরে ঘুমধুমের মধ্যমপাড়া, পশ্চিমকুল, উত্তরপাড়া, হিন্দুপাড়া, কোনারপাড়া এলাকায় অনেক কৃষককে খেতে কাজ করতে দেখা গেছে। উত্তরপাড়া এলাকায় সবজি খেতে কাজ করছিলেন ছেনুয়ারা বেগম (৩৫)। খেতের আইলে বসে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত মঙ্গলবার দুইজ্জ্যা (দপুরে) ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রত গেইলাম। আজিয়া দুইজ্জা আইস্সি। এহন সবজি খেতিত আগাছা পরিষ্কার গরির।’ ছেনুয়ারা বলেন, ‘গত রইবারত্তু (রোববার থেকে) সব সময় আতঙ্কত থাক্কিলাম। এলাকার বেশির ভাগ ঘরত গোলা আই পইজ্জে (পড়েছে)। মঙ্গলবার রাতিয়া গোলাগুলি হইম্মেদে (কমে যাওয়ায়) এতোল্লাই আতঙ্কও হইম্মে (কমেছে)।’
প্রায় এক মাস ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) লড়াই চলছে। বাংলাদেশ সীমান্তের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে এত দিন লড়াই চললেও এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে গত শনিবার দিবাগত রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্তে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সংঘর্ষ তীব্র হয়। সেই সংঘর্ষ এখনো চলছে।