ব্রিটিশ নির্বাচনে বিপুল জয়ের পথে কেয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি: জরিপ – আনন্দ আলো

ব্রিটিশ নির্বাচনে বিপুল জয়ের পথে কেয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি: জরিপ – আনন্দ আলো

১৮ বছরের কনজারভেটিভ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ১৯৯৭ সালে টনি ব্লেয়ার যে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছিলেন, এবার সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়তে চলেছে কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি। বৃহস্পতিবারের সাধারণ নির্বাচনে অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির ভূমিধস জয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

মিড বেডফোর্ডশায়ারে লেবার প্রার্থী মাহউইশ মির্জার সাথে কেয়ার স্টারমার প্রচারণার সময় ছবি তুলেছেন, যা জনগণের মধ্যে আশার আলো জ্বালিয়েছে।


সম্পর্কিত

নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট, পাশাপাশি বিভক্ত রাজনৈতিক পরিবেশের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।

কনজারভেটিভরা গত ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকলেও এবার তারা নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন কট্টর-ডানপন্থী দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ফারাজের রিফর্ম ইউকে পার্টি এবার নির্বাচনে বড় ধরনের সাফল্য পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাংলিয়ার অধ্যাপক টবি জেমস বলছেন, ‘লেবার পার্টির সম্ভাব্য জয় ১৯৯৭ সালের মতোই স্মরণীয় হয়ে থাকবে, যদিও বর্তমান পরিস্থিতি অনেক কঠিন।’

গত নির্বাচনে ভোটদানের হার ৬৭.৩ শতাংশ ছিল, যেখানে ১৯৯৭ সালে এই হার ছিল ৭১.৪ শতাংশ। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, লেবার পার্টি ৪২ শতাংশ ভোট পেতে পারে, যা তাদের ৪৮৪টি আসন অর্জনে সাহায্য করতে পারে। অন্যদিকে, কনজারভেটিভদের মাত্র ২৩ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নাইজেল ফারাজ কনজারভেটিভদের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছেন। এবারের নির্বাচনে রিফর্ম পার্টি কতটি আসন পাবে, তা নিয়ে সবার মধ্যে কৌতূহল রয়েছে।

ব্রেক্সিটের পর অভিবাসন ইস্যুতে কনজারভেটিভদের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় এই বিষয়টি নির্বাচনী প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গত বছর যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী অধিকাংশই কাজ বা পড়াশোনার জন্য এসেছেন, তবে ফ্রান্স থেকে অবৈধভাবে আসা অভিবাসীর সংখ্যাও কম নয়।

লেবার পার্টি বিতর্কিত রুয়ান্ডা স্কিম বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল।

গাজা যুদ্ধের বিষয়ে লেবার পার্টির অবস্থান নিয়ে কিছু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ শহরগুলোতে সমর্থন পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। লেবার কাউন্সিলর শায়েস্তা আজিজ গাজা ইস্যুতে কেয়ার স্টারমারের কঠোর নীতির অভাবের কারণে পদত্যাগ করেছেন। তিনি টোরি সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চান, তবে নির্বাচনে ভোট দিতে আগ্রহী নন।

এবারের নির্বাচন যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Scroll to Top