এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
যুক্তরাজ্যের ‘কঠোর ও গোপন’ নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা দেশটির প্রায় ৯০ লাখ মানুষ, যাদের বড় অংশ মুসলমান তাদের নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
রানিমিড ট্রাস্ট ও রিপ্রিভ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, যুক্তরাজ্যে স্বরাষ্ট্রসচিবের বিবেচনায় জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশের নাগরিকত্ব আইনগতভাবে বাতিল করা সম্ভব। এ ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বংশোদ্ভূতদের ওপর অসামঞ্জস্যভাবে প্রভাব ফেলছে।
সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আই এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে— প্রতি পাঁচজন অশ্বেতাঙ্গ মানুষের মধ্যে তিনজন ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মধ্যে প্রতি ২০ জনের মধ্যে কেবল একজন একই ঝুঁকির সম্মুখীন।
গবেষকেরা বলেন, এতে নাগরিকত্বে ‘দ্বিস্তর’ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে এবং মুসলমানদের ব্রিটেনে অন্তর্ভুক্তি শর্তসাপেক্ষ হয়ে পড়ছে। সংগঠন দুটি নাগরিকত্ব বাতিলের ওপর স্থগিতাদেশ, আইন সংস্কার এবং পূর্বে বাতিল নাগরিকত্ব পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়েছে।




