ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারের একমাত্র কারণ। আগে ব্যাটিং করে ১৬৫ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ পরে জবাব দিতে নেমে ৫৭ রানে হারায় পঞ্চম উইকেট। ম্যাচটা মূলত সেখানেই হেরেছে বাংলাদেশ।
শেষ দিকে চার বোলার মিলে অবশ্য ম্যাচ জমিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন এবং পেরেছেনও। চার বোলার তানজিম হাসান সাকিব (৩৩ রান), নাসুম আহমেদ (২০ রান), তাসকিন আহমেদ (১০ রান) ও মোস্তাফিজুর রহমান (১১ রান) মিলে করেন ৭৪ রান! তবে শেষের হিসেবটা মিলেন শুরুতেই অনেকটা পিছিয়ে পড়ার কারণে। চার বোলারকে বাদ দিলে বাকি ব্যাটাররা সবাই মিলে তোলেন ৭৫ রান।
শেষ পর্যন্ত ২ বল হাতে রেখে ১৪৯ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। যাতে ১৬ রানে ম্যাচ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৬৫ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুর দিকে বেশ আশাই দেখাচ্ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু ৪ বলে দুটি চার ১টি ছক্কায় ১৫ রান করা তামিম ফিরেছেন পঞ্চম বলটাও হাঁকাতে গিয়ে।
অধিনায়ক লিটন দাস থিতু হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ। ফিরেছেন ৮ বলে ৫ রান করে। দারুণ ফর্মে থাকা সাইফ হাসান ৭ বলে ৮ রান করে ফিরেছেন ইনিংসের পঞ্চম ওভারে। পাঁচে নামা শামীম হোসেন পাটোয়ারী ৪ বল খেলে ফিরেছেন ১ রান করে। খানিক বাদে নুরুল হাসান সোহানও ফিরলে ৫৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ম্যাচটা সেখানেই অনেকটা শেষ হয়েছে।
তবে এরপর চার বোলার তানজিম সাকিব, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আর মোস্তাফিজ মিলিয়ে ম্যাচ জমিয়ে ফেলেছিলেন। স্মরণীয় জয় অবশ্য এনে দিতে পারেননি দলকে। সাকিব ২৭ বলে ৩টি চার ১টি ছয়ে ৩৩ রান করে ফিরেছেন, তিনিই ম্যাচে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার।
৩টি চার ১টি ছয়ে ১৩ বলে ২০ রান করেন নাসুম আহমেদ। ৮ বল খেলে তাসকিন ১০ ও মোস্তাফিজ ১১ রান করেন। এর আগে তাওহিদ হৃদয় ২৫ বলে ২৮ রান করেন। ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ের শুরুটা হয়েছে দারুণ। আলিক অ্যাথানেজ আর ব্রেন্ডন কিংয়ের ওপেনিং জুটিতে উঠেছে ৫৯ রান। ২৭ বলে ৪টি চার ১টি ছয়ে ৩৪ রান করা আকিলকে সরাসরি বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন।
এরপর শেই হোপকে নিয়ে এগুতে থাকেন ব্রেন্ডন কিং। ১৩ ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। পরপর দুই বলে ৩৬ বলে ৩৩ রান করা ব্রেন্ডন কিং ও শূণ্য রান করা রাদারফোর্ডকে ফেরান তাসকিন। তারপর থেকেই হোপ আর রভম্যান পাওয়েলের প্রতিরোধ।
চতুর্থ উইকেটে তাদের ৪৬ রানের অপরাজিত জুটিটা ছিল ৮৩ রানের। ২৮ বলে ৪৪ রান করার পথে পাওয়েল চার মেরেছেন ১টি, আর ছক্কা ৪টি। অপর দিকে হোপ ২৮ বলে ৪৬ রান করার পথে চার হাঁকিয়েছেন ১টি, তিনিও ছক্কা হাঁকান ৪টি।




