নয়াদিল্লি, ০৪ জুন – ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে আইপিএলের শিরোপা উৎসব অনুষ্ঠানে পদদলনের শিকার হয়ে মারা গেছেন ১১ জন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন। বুধবার বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ঘটেছে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা।
এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম থেকে আহত ও অচেতন লোকজনকে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে— এমন দৃশ্য ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
চলতি মৌসুমের আইপিএলে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা জিতেছে কর্ণাটকভিত্তিক দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। এ বিজয় উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ বুধবার বিকেল ৫ টায় বেঙ্গালুরু শহরের বিধান সৌধ এলাকা থেকে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম পর্যন্ত ভিক্টরি প্যারেড বা বিজয় মিছিল হওয়ার কথা ছিল।
পরে সেই পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী বিজয় মিছিলের পরিবর্তে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের মাঠেই আরসিবিকে সংবর্ধনা প্রদানের আয়োজন করে কর্ণাটক রাজ্য সরকারের ক্রিকেট সংস্থা কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ)। বিকেল ৫ টার মধ্যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষ করে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারমাইয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাওয়ার কথা ছিল আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলিসহ দলের অন্যান্য সদস্যদের।
এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের খবর প্রচারিত হওয়ার পর বুধবার সকাল থেকেই এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের চারপাশের এলাকায় ভিড় বাড়তে শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান দেখতে কয়েক লক্ষ মানুষ চলে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রয়োজনের তুলনায় পুলিশ কর্মীর সংখ্যা ছিল অনেক কম। ফলে ভিড় সামলাতে নাজেহাল অবস্থা হয় তাঁদের। এর পর স্টেডিয়ামের গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য মানুষ দ্রুত ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি। বিপত্তির শুরু সেখান থেকেই।
তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন কর্ণাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার।
বিবৃতিতে কর্ণাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য আমরা স্টেডিয়াম এলাকায় ৫ হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করেছিলাম। কিন্তু সেখানে অকল্পনীয় ভিড় ছিল এবং যেহেতু সবাই আনন্দ উদযাপনের জন্য এসেছিল, তাই পুলিশকে কঠোর না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা ক্ষমা চাইছি।”
এক বিবৃতিতে কর্ণাটক পুলিশ জানিয়েছে, এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকেই সেখানে অবস্থান নিয়েছিল পুলিশ; কিন্তু উৎসাহী জনতার ভিড় যে এত বড় হবে— তা তারা ভাবতে পারেনি।
“আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছি”, বিবৃতিতে বলেছে কর্ণাটক পুলিশ।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ০৪ জুন ২০২৫