বিশেষ অতিথি অধ্যাপক শিল্পী সৈয়দ আবুল বার্ক্ আলভী বলেন, আবদুল বাসেতের সঙ্গে তাঁর সমসাময়িক শিল্পী মোহাম্মদ কিবরিয়ার গভীর সখ্য ছিল। তাঁদের দুজনের কাজের মধ্যেও বেশ সাদৃশ্য লক্ষণীয়। অনেক সময় মনে হয়, তারা একে অন্যকে প্রভাবিত ও অনুপ্রাণিত করেছিলেন।
বিশেষ অতিথি প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান স্মৃতিচারণা করে বলেন, কাজী আবদুল বাসেত ১৯৫৬ সালে আর্ট কলেজ থেকে পাস করে নবাবপুর হাইস্কুলে আর্টের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। শিল্পী মোহাম্মদ কিবরিয়া ও শিল্পী মুর্তজা বশীরও এই স্কুলে তাঁর (মতিউর রহমান) শিক্ষক ছিলেন। কাজী আবদুল বাসেত পাকিস্তান আমলেই একজন প্রধান শিল্পী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। আমিনুল ইসলাম, দেবদাস চক্রবর্তী, আবু তাহের, আবদুর রউফের মতো শিল্পীরা তাঁর সহপাঠী ছিলেন। জীবনে প্রথম দিকে তিনি বাস্তবধর্মী কাজ করেছেন। গ্রামীণ জীবন, বিশেষ করে নারী, শিশু, নিসর্গ এসব ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে ফেরার পর মধ্যম পর্যায়ে তিনি বিমূর্ত ও আধা বিমূর্ত রীতির কাজ করেন। শেষ জীবনে আবার বাস্তব রীতির কাজের ধারায় ফিরে এসেছিলেন। এখন তাঁর তৃতীয় একক প্রদর্শনী হচ্ছে। এটি আয়োজন করে বেঙ্গল গ্যালারি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।