বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির পরিকল্পনা | চ্যানেল আই অনলাইন

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির পরিকল্পনা | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ডা. মো. ইব্রাহিম-এর অমর বাণী ‘আমাদেরকে সেবা করার সুযোগ দেয়ার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ’ মূলনীতিকে ধারণ করে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সচেতন করার জন্য সমিতি বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। যাদের ডায়াবেটিস আছে এবং যাদের ডায়াবেটিস নেই। উভয়কেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিজেকে সুরক্ষা করা সম্ভব হবে।

এবার ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’কে সামনে রেখে ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনের জন্য ৫টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে-

১. ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগীকে রোগনির্ণয়ের আওতায় আনা

২. ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগীর রক্তশর্করা সুনিয়ন্ত্রণে রাখা

GOVT

৩. ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগীর রক্তচাপ সুনিয়ন্ত্রণে রাখা

৪. ৬০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগী, যাদের বয়স চল্লিশের বেশি তাদের ‘স্টাটিন’ পাওয়া নিশ্চিত করা

৫. সকল (১০০ শতাংশ) টাইপ ১ ডায়াবেটিক রোগীর কাছে ইনসুলিন ও অন্যান্য সুবিধা পৌঁছে দেয়া

অনেকেরই জানা আছে যে, মানবদেহে কোন কারণে ইনসুলিন নামক হরমোনের অভাব বা ঘাটতি হলে কিংবা উৎপাদিত ইনসুলিন কার্যকরভাবে শরীরে ব্যবহৃত না হলে বা শরীরের ইনসুলিন নিষ্ক্রিয় থাকলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। এই গ্লুকোজ পরে প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে আসে। এ অবস্থাকেই ডায়াবেটিস বলা হয়।

ডায়াবেটিস সারা জীবনের রোগ। এ রোগ কখনও সম্পূর্ণ সারে না। কিন্তু, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নির্ধারিত নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চললে এবং প্রয়োজনে পরিমাণ মতো ওষুধ গ্রহণ করলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ ও প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব। ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

ডায়াবেটিস আছে এমন রোগীদের অন্তত অর্ধেকই জানেন না যে, তাদের ডায়াবেটিস আছে। এ কারণে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে এ রোগ সম্পর্কে সচেতন করে তোলা প্রয়োজন। আমাদের সকলেরই উচিত সময়ে সময়ে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করে দেখা যে ডায়াবেটিস আছে কি না।

বাংলাদেশসহ পৃথিবীতে এমন পরিবার নেই, যে পরিবারে অন্তত একজন ডায়াবেটিক রোগী, অথবা ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন এমন মানুষ নেই। ফলে আমাদের পরিবারকে ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করতে হলে এ বিষয়ে সচেতনতা যেমন সৃষ্টি করতে হবে, তেমনি বেশকিছু উদ্যোগও আমাদের নিতে হবে।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বেশকিছু রুত্বপূর্ণ ও টেকসই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানোর জন্য ‘গর্ভধারণ-পূর্ব সেবা’ এম একটি বিশেষ প্রকল্প আমরা গ্রহণ করেছি। এ লক্ষ্যে ৪০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তারা পরিকল্পিত গর্ভধারণের ব্যাপারে নবদম্পতিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। সারা দেশে স্থাপিত ৫৪টি গর্ভধারণ-পূর্ব সেবা কেন্দ্রগুলোতে নারীরা স্বল্পমূল্যে গর্ভধারণ সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।

Chokroanimation

Scroll to Top