নতুন বিয়ের পর, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সংক্রমণ (ইউরিন ইনফেকশন) বা জ্বালাপোড়া প্রায়ই দেখা যায়। এটাকে বলে হানিমুন সিস্টাইটিস। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে ওষুধ খাওয়া দরকার। তবে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতাসংক্রান্ত কিছু বিধিনিষেধ মেনে চললে, শারীরিক সংসর্গের পর ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের সংক্রমণের হার কমানো যায়। পর্যাপ্ত তরল খাবার খাওয়া, প্রস্রাবের বেগ এলে চেপে না রাখা, যৌন সংসর্গের আগে ও পরে মূত্রথলি খালি করা ইত্যাদি নিয়ম মেনে চললে প্রস্রাবের সংক্রমণের আশঙ্কা কমে।
আবার কিছু কিছু রোগ আছে, যেগুলো শুধু শারীরিক ঘনিষ্ঠতার মাধ্যমেই ছড়াতে পারে। জননাঙ্গের কিছু সংক্রমণ, যেমন জেনিটাল হারপিস, প্যাপিলোমা ভাইরাস, মাইকোপ্লাজমা ইত্যাদি রোগ বিয়ের পর দেখা যেতে পারে। সিফিলিস, গনোরিয়ার মতো সংক্রামক ব্যাধিও ছড়াতে পারে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার মাধ্যমে। এসব সংক্রমণ নবদম্পতির কারও থাকলে অন্যজনকেও তা সংক্রামিত করতে পারে। হেপাটাইটিস বি বা সি কিংবা এইচআইভির মতো মারাত্মক রোগও শারীরিক ঘনিষ্ঠতার মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা প্রয়োজনে বিয়ের আগেই করে নিশ্চিত হওয়ার দরকার আছে। শুধু তা–ই নয়, থ্যালাসেমিয়া বা এই ধরনের বংশগত রোগব্যাধি নির্ণয়ের জন্যও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিলে ভালো। যেমন মা-বাবা যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হন, তাহলে সন্তানের ক্ষেত্রে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। বিয়ের আগেই কিছু রুটিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিলে স্বামী-স্ত্রী দুজনের জন্যই ভালো।