এম শামসুল আলম: প্রথম প্রশ্ন হলো, জ্বালানি খাতকে আমরা কী দৃষ্টিতে দেখব। যদি সরকার এটিকে বাণিজ্যিক দৃষ্টিতে দেখে, তাতে মুষ্টিমেয় কিছু লোক লাভবান হবে। আর যদি এটি সেবা খাত হিসেবে দেখে, তাহলে জনগণ লাভবান হবে, তাদের জীবনমানও বাড়বে। অর্থনীতি সচল হবে। জ্বালানি হলো অর্থনীতির চালিকা শক্তি।
তাই বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল বা গ্যাসের দাম বাড়ানোর আগে সরকারের উচিত ছিল এর প্রভাব-প্রতিক্রিয়ার কথা ভাবা। সরকার এমন এক সময়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াল, যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম চড়া। কিন্তু মানুষের আয় তো বাড়েনি। এখন বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষি ও শিল্পপণ্যের দাম বাড়বে। পরিবহন ব্যয় বাড়বে। বিদেশিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে।
সত্তরের দশকে যেখানে সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্য জোগানো যেত না, সেখানে আমরা এখন অনেকটা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটি কীভাবে হয়েছে? সরকারের কৃষি সহায়ক নীতির কারণে। সরকার সার, বীজ ও সেচে ভর্তুকি দিয়েছে। জ্বালানি খাতে ভর্তুকির চেয়েও জরুরি হলো সহায়ক নীতি এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন।