অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং স্বল্প-দক্ষ কর্মীদের নেয়ার জন্য নতুন ভিসা নীতি কঠোর করতে যাচ্ছে যা আগামী দুই বছরে দেশটিতে অভিবাসী গ্রহণের পরিমাণে অর্ধেক করে দিবে। বর্তমান অভিবাসন ব্যবস্থাকে সংশোধন করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সরকার।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার ১১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ২০২২-২৩ সালের নেট অভিবাসন রেকর্ড ৫ লাখ ১০ হাজারে পৌঁছানোর পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকারি তথ্য দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী কোভিড পরিস্থিতির পর ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন হার প্রায় এক চতুর্থাংশে নেমে যাওয়ার পূর্বাভাস ছিল, যা তো হয়ই নাই বরং কয়েকগুণ বেড়েছে।
নতুন ভিসানীতি অনুসারে, উচ্চ শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়াতে আসতে হলে শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়াতে হবে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ইংরেজি পরীক্ষায় উচ্চ রেটিং প্রয়োজন হবে। এটি সেই রেটিং অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে শিক্ষার্থীরা কতদিন অস্ট্রেলিয়াতে থাকতে পারবেন।
মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ওনিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আমরা অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন ব্যবস্থায় সর্বোত্তম ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ২৪ ঘন্টা কাজ করেছি। সরকারের লক্ষ্যযুক্ত সংস্কারগুলো ইতিমধ্যেই নেট বিদেশী অভিবাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২২-২৩ সালে নেট বিদেশী অভিবাসনের বৃদ্ধি বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন সংখ্যাকে একটি টেকসই স্তরে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। আমরা সেই উদ্দেশ্যে কাজ করছি।
অস্ট্রেলিয়া কোভিড-১৯ মহামারিতে নিজ সীমান্ত প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আনার পর মূল ব্যবসাগুলোতে ঘাটতি দেখা যায়। সেই ঘাটতি পূরণের উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং কর্মী নিয়োগে সহায়তা করার জন্য অস্ট্রেলিয়া গত বছর তার বার্ষিক মাইগ্রেশন সংখ্যা বাড়িয়েছে।