এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘বিএনপি ও জামায়াত তাদের অবস্থান থেকে এককভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। এই জায়গায় তরুণদের প্রতিনিধিত্ব এবং এনসিপির অংশগ্রহণ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সমন্বয় সভা শেষে গণমাধ্যমে কথা বলার সময় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশে “জুলাই সনদ” বাস্তবায়নের জন্য মৌলিক সংস্কার ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
সারজিস আলম বলেন, “যখন দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা কমে গিয়েছিল, তখন তরুণরাই রাজপথে নেমে ফ্যাসিস্ট কাঠামোর বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াই করেছে। তরুণদের নেতৃত্বেই গণঅভ্যুত্থান ঘটে এবং সেই অভ্যুত্থানের ফলেই ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।”
অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাস্তবতায় গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়ায় তরুণদের ভূমিকা অপরিহার্য মনে করে তিনি বলেন, “এনসিপি জুলাই সনদ নিয়ে আপোষহীন অবস্থানে আছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল যখন শুধু নির্বাচনী অংশ হিসেবে সনদে স্বাক্ষর করেছে, তখন এনসিপি বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা ছাড়া স্বাক্ষর করতে রাজি হয়নি।”
তিনি আরও জানান, “যেদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে, যেদিন প্রধান উপদেষ্টার তরফ থেকে আদেশ জারি হবে এবং আদালত সনদের পক্ষে রায় দেবে, সেদিন এনসিপি নির্দ্বিধায় স্বাক্ষর করবে। কিন্তু তার আগে কাগজে কলমে সনদে সই করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করবে না।”
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, “নির্বাচন কমিশন এনসিপির প্রতীক (শাপলা মার্কা) বরাদ্দে স্বেচ্ছাচারিতা ও পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। আইনগতভাবে এনসিপির শাপলা প্রতীক পেতে কোনো বাধা নেই। নির্বাচন কমিশনের উচিত নিরপেক্ষ আচরণ করা। তারা যদি স্বাধীনতা ও সাহস দেখাতে না পারে, তাহলে আগামী নির্বাচনে জনগণের আস্থা হারাবে।”
সারজিস আলম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি নির্বাচন কমিশন আইনগত দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়, তাহলে এনসিপি রাজপথে নামবে। প্রয়োজনে পূর্ণ কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলন শুরু হবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক হাফেজ ইকরাম হোসেনের সঞ্চালনা ও এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আহনাফ সাঈদ খানের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক ও ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার, কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক খাইরুল কবির, সংগঠক সাঈদ উজ্জ্বল, কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য দিদার শাহসহ দলের স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।






