প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলো সাময়িকভাবে বিজয়ী হতে পারে। কিন্তু তাদের বক্তব্যের যে কোনো ভিত্তি নেই, তারা দ্রুতই এটা বুঝতে পারবে। সামাজিক মাধ্যমে টাকা ঢেলে বক্তব্য ছড়িয়ে বা নিউইয়র্কের গণপরিবহন ব্যবস্থা ও ভ্যানে ব্যানার টাঙিয়ে তাদের কোনো কাজে আসবে না।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি এই কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে ফের প্রার্থী হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের ঘটনাবলি সম্পর্কে কী ভাবছেন তা স্পষ্টতই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি (ট্রাম্প) শিগগিরই মুক্ত বিশ্বের নেতা হতে পারেন। কিন্তু আমাদের কাজ হচ্ছে সবচেয়ে স্বচ্ছ ও বাধ্যতামূলক উপায়ে সত্য বলা।
তিনি বলেন, শুরু থেকেই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কৌশল ছিল সব বিদেশি সাংবাদিক, গবেষক ও বিশেষজ্ঞকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো। তারা বাংলাদেশকে নিজেদের মতো করে আবিষ্কার করুক, কারণ আমরা আমাদের সমাজ, আমাদের জনগণ, আমাদের দেশ সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী।
শফিকুল আলম পোস্টে বলেন, আমরা জানি, বিপ্লব (জুলাই গণ-অভ্যুত্থান) নিয়ে বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে সহিংসতা চালানোর বিষয়ে মিথ্যা বয়ান তৈরির ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠীর ভাষ্যগুলো একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। আমরা এটা অস্বীকার করছি না যে কিছু ধর্মীয় সহিংসতা ঘটেনি। কিন্তু সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং সেগুলো নিয়ে ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যক্তি ও মানুষ হিসেবে তাদের সম্মান করতে হবে। ক্ষণিকের মধ্যে সেই অনুপ্রাণিত গোষ্ঠীগুলো জয়ী হতে পারে। তবে শিগগিরই তারা বুঝতে পারবে যে তাদের কথার কোনো ভিত্তি নেই। নিউইয়র্কের গণপরিবহন ও ভ্যান নিয়ে যতই সোশ্যাল মিডিয়ায় বুস্টিং করা বা ব্যানার থাকুক না কেন, তা তাদের কোনো কাজে লাগবে না।