টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচ হারলেও সিরিজে সমতায় ফিরেছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ ম্যাচে হেরে সিরিজ জয়ের স্বপ্নটা পূর্ণ হয়নি শান্তদের। ওয়ানডে সিরিজে হয়েছে উল্টোটা। প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ জিতলেও পরের ম্যাচ জিতে সমতায় ফিরেছে শ্রীলংকা। চট্টগ্রামে আগামীকাল সকাল ১০টায় শুরু হতে যাওয়া তৃতীয় ওয়ানডে তাই সিরিজ নির্ধারণি ফাইনাল। প্রথম ম্যাচের মতো দাপুটে জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেবেন শান্তরা? নাকি টি-টোয়েন্টি সিরিজের মতো ওয়ানডেতেও শেষ হাসি হাসবেন মেন্ডিসরা?
পরিসংখ্যান
লংকানদের বিপক্ষে সব মিলিয়ে ৫৬টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। এর মাঝে জয় এসেছে মাত্র ১১টিতে। সবশেষ জয় এসেছে এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে। বাকি ৪৩ ম্যাচে জিতেছে শ্রীলংকা, সবশেষ জয় দ্বিতীয় ম্যাচে। ২ ম্যাচের ফলাফল আসেনি।
এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি করে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। শুধু শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি করে জয় টাইগারদের। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ জিতেছে ২১ বার। এর মাঝে ১৮ বার সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে দুই বার, সিরিজ সমতায় শেষ হয়েছে একবার।
সবশেষ তিন ম্যাচ সিরিজে প্রথম ম্যাচ জিতেও সিরিজ হারের রেকর্ড ২০১৩ সালে। জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে প্রথম ম্যাচ জিতেও সিরিজ হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ জেতার পরেও শেষ দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ খোয়াতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এবার এই দুইবারের পুনরাবৃত্তি হবে নাকি বাকি ১৮ বারের মতো শেষ পর্যন্ত সিরিজ নিজেদের করে নেবেন শান্তরা?
পিচ ও কন্ডিশন
প্রথম দুই ম্যাচ শুরু হয়েছে দুপুরে। সন্ধ্যার পর বেশ প্রবলভাবেই প্রভাব ফেলেছে শিশির। দুই ম্যাচেই তাই দ্বিতীয়ভাগে বল করতে গিয়ে হ্যাপা পোহাতে হয়েছে বোলারদের। শেষ ওয়ানডে অবশ্য শুরু হচ্ছে সকালে। তাই শিশিরের প্রভাব আর থাকছে না। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নিতে পারেন দুই অধিনায়ক।
দলের খবর
শেষ ওয়ানডেকে সামনে রেখে দুই দলেই রয়েছে ইনজুরির ধাক্কা। আজ অনুশীলনের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে তৃতীয় ওয়ানডে থেকে ছিটকে গেছেন দুই ওয়ানডেতে দারুণ বোলিং করা পেসার তানজিম সাকিব। তার পরিবর্তে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ। ফলে শেষ ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ স্কোয়াডে আছেন চার পেসার। তাদের মাঝে তাসকিন ও শরিফুল নিশ্চিতভাবেই থাকছেন এই দুজন। তৃতীয় পেসার হিসাবে হাসান না মোস্তাফিজ কে থাকছেন স্কোয়াডে, সেটা জানা যাবে ম্যাচের সময়েই।
এছাড়া বাজে ফর্মের কারণে স্কোয়াড থেকে আগেই বাদ পড়েছেন লিটন দাস। তার পরিবর্তে স্কোয়াডে ঢুকেছেন জাকের আলি। আগামীকালের ম্যাচে একাদশে দেখা যেতে পারে তাকেও। লিটনের পরিবর্তে সৌম্য সরকারের সাথে ওপেনিংয়ে কে নামবে, সেটা নিয়েও আছে বড় প্রশ্ন। প্রথম দুই ম্যাচে বর্ণহীন তাইজুলের পরিবর্তে দেখা যেতে পারে স্পিনার রিশাদকেও।
বাংলাদেশের মতো ইনজুরির ধাক্কা লেগেছে লংকান স্কোয়াডেও। হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরির কারণে সিরিজ শেষ হয়ে গেছে পেসার দিলশান মাদুশংকা। তার বদলে অবশ্য কাউকে স্কোয়াডে নেয়নি শ্রীলংকা। শেষ ম্যাচে তাই একটি পরিবর্তনই আসতে পারে লংকান একাদশে।
১৮ মার্চ সকালে সিরিজ নির্ধারণি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা। টি-২০ সিরিজের হতাশা কাটিয়ে ওয়ানডে সিরিজ ঘরে তুলতে পারবেন কিনা শান্তরা, সেটার উত্তর পাওয়া যাবে চট্টগ্রামের আগামীকালের ম্যাচেই।
বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যকার সিরিজের সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন জিটিভি এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোলবিডি।
The post বাংলাদেশ না শ্রীলংকা, ওয়ানডে সিরিজে শেষ হাসি কার? appeared first on Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment.