আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়ে দেশে ফিরেছিলেন তারা। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সামনে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ চ্যালেঞ্জ। মিরপুরের কালো পিচে সেই চ্যালেঞ্জ জয় করল মেহেদি মিরাজের দল। শেষ ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের এই সিরিজে হয়েছে বেশ কিছু রেকর্ডও।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান গড়েছেন ইতিহাস। ১৭৬ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে মিরপুরের মাঠে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির মালিক হলেন এই দুই ব্যাটার।
আজকের আগ পর্যন্ত এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন এনামুল হক বিজয় ও ইমরুল কায়েস। ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে এই দুই ওপেনার গড়েছিলেন ১৫০ রানের রেকর্ড জুটি। ১১ বছর পর তাদের রেকর্ড ভাঙলেন সৌম্য-সাইফ। মিরপুরে সব মিলিয়ে এটি ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। ২০১২ সালে পাকিস্তানের নাসির জামশেদ ও মোহাম্মদ হাফিজ ২২৪ রানের জুটি গড়েছিলেন।
সিরিজের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন সাইফ হাসান। এক ওয়ানডে ইনিংসে বাংলাদেশি ব্যাটারের সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকানোর তালিকায় তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকারের সাথে যৌথভাবে ৩য় স্থানে উঠেছেন সাইফ। ৭ ছক্কা নিয়ে দুইয়ে তামিম, ৮ ছক্কা হাঁকানো লিটন দাস আছেন শীর্ষে।
শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা মেরেছেন মোট ১৪টি ছক্কা। বাংলাদেশের ইতিহাসে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে এক ইনিংসে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড এখন এটাই। এর আগে ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক ইনিংসে ১৪টি ছক্কা মেরেছিল বাংলাদেশ।
৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১২ উইকেট শিকার করেছেন রিশাদ হোসেন। তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড। ভারতের বিপক্ষে সিরিজে ৩ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৭৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। রানের হিসেবে বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়। ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮৩ রানের জয় রানের হিসাবে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অবশ্য ১৭৯ রানই সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২ সালে ১৬০ রানের জয় ছিল এতদিনের রেকর্ড।




