স্পোর্টস ডেস্ক
১৮৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের স্কোর তখন খুব হবে বলে মনে হচ্ছিল না। তবে টেলএন্ডারদের সাথে নিয়ে দারুণ এক ইনিংস খেলে দলকে লড়াই করার ২৮৬ রানের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়। মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পেলেও ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে আলো ছড়িয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত এই পুঁজি যথেষ্ট হয়নি বাংলাদেশের, লংকানরা জিতেছে ৩ উইকেটে। ম্যাচ শেষে হৃদয় জানালেন, নিশানকা-আসালাংকার জুটির পাশাপাশি টপ অর্ডারের কম রান করার কারণেই ম্যাচ হারতে হয়েছে তাদের।
গত ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও শূন্য রানে ফিরেছেন ওপেনার লিটন দাস। শান্ত-সৌম্য ভালো শুরু করলেও খুব বেশি বড় করতে পারেননি নিজেদের ইনিংসকে। হৃদয় জানালেন, টপ অর্ডারের আরও রান করা উচিত ছিল, ‘আমার মনে হয় নিশানকা-আসালাংকা ভালো জুটি গড়েছে, কৃতিত্ব ওদের দিতেই হবে। তবে আমাদের যারা সেট হয়েছিল তারা ইনিংসটা আরও বড় করা উচিত ছিল। সৌম্য ভাই, শান্ত ভাইয়ের সাথে আমিও যদি ইনিংসটা বড় করতে পারতাম তাহলে আরও ভালো হত। আমাদের ইনিংস আরও বড় হলে ম্যাচের দৃশ্যটা ভিন্ন হতে পারত। সবাই তো প্রতিদিন খেলবে না। বাকিরা অন্য ম্যাচে ভালো খেলেছে। প্রথম ম্যাচে আমি ভালো খেলিনি। তাই যে যেদিন ভালো খেলবে তার উচিত ইনিংসটা বড় করা।’
দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে পরের ম্যাচে আরও ভালো করার প্রত্যয় হৃদয়ের, ‘প্রথম ম্যাচে ভালো বলে আউট হয়েছিলাম। প্রতিদিন ভালো খেলব এমন না। কিছু জায়গা আছে যেখানে কাজ করার দরকার। আমার আরও উন্নতির জায়গা আছে। সেটাই চেষ্টা করি নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করা যায়।’
টেলএন্ডারদের শেষের দিকে এনে দেওয়া রান দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে গেছে বলেই বিশ্বাস হৃদয়ের, ‘আমার মাথায় ছিল মেহেদি ভাইয়ের পরেও সাকিব ভাই, তাসকিন ভাই ব্যাটিং করে। তাইজুল ভাই, শরিফুল ভাইরাও ব্যাটিং পারে। আমার আত্মবিশ্বাস ছিল যে শেষ পর্যন্ত যারা আছে তাদের নিয়েই খেলব। দলের জন্য যতটুক করা যায়। শেষের দিকে যারা আসেন তারা অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। তাসকিন-সাকিব ভাইয়ের রান অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল, দলকে সাহস জুগিয়েছে। সবসময় এটা দলের জন্য ভালো।’
বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যকার সিরিজের সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন জিটিভি এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোলবিডি।
সারাবাংলা/এফএম