আগের আসরে এই গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়েই টুর্নামেন্টের পঞ্চম শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। ফরম্যাট অনুযায়ী সেই গুজরাটের বিপক্ষেই ২০২৪ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচ হওয়ার কথা মুস্তাফিজের চেন্নাইয়ের। তবে সেখানে এসেছে কিছুটা বদল। আসরের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় গতবারের দুই ফাইনালিস্ট। সেখানেও জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাঠে দুইশ পেরোনো লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে গুজরাটকে ১৪৩ রানেই থামায় চেন্নাই। এতে ৬৩ রানের বড় জয় পায় রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল।
এ ম্যাচেও বল হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভার বল করে ৩০ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। এতে দুই ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা দাঁড়াল ৬ এবং পার্পল ক্যাপটা এখনো থাকল ‘ফিজের’ দখলেই।
চিপকে এদিন টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন গুজরাট অধিনায়ক শুভমান গিল। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটারদের দলীয় নৈপুণ্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় চেন্নাই।
সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকে ছন্দহীন ব্যাটিং ইনিংস উপহার দিয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় গুজরাট। পেসারদের তোপের সামনে দলটির কোনো ব্যাটারই সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৩৭ রান এসেছে সাই সুদর্শনের ব্যাট থেকে। ২০ ওভার শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৪৩ রানে থামে গুজরাট। এতে জয় দিয়ে আসরটা শুরু করলেও চেন্নাইয়ের মাঠে এসে ধাক্কা খেল তারা।
এদিকে নিজের প্রথম দুই ওভারে কিছুটা নিস্প্রভ ছিলেন মুস্তাফিজ। সেখানে ২ ওভারে কোনো উইকেট না নিয়ে দেন ২৩ রান। পরের দুই ওভারেই ‘ফিজ’ ফেরেন সেই চিরচেনা রুপে। এবারের স্পেলে ৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। বাকি দুই পেসার দীপক চাহার ও তুষার দেশপান্ডেও নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার রুতুরাজ ও রাচিনের ভরে ঝোড়ো শুরু পায় চেন্নাই। ৯ ওভার ৫ বলে দলীয় রান পৌঁছায় ১০০-তে। দুই ওপেনারই ফেরেন সমান ৪৬ রান করে। এতে অবশ্য রানের গতি কমেনি। শিবাম দুবের ২৩ বলে ৫১ রানের ঝড়ে দুইশ পেরোয় দলটির সংগ্রহ।
মুস্তাফিজদের পরের ম্যাচে আগামী ৩১ মার্চ, দিল্লীর বিপক্ষে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চেন্নাই সুপার কিংস: ২০৬/৬ (২০ ওভার, গায়কোয়াড় ৪৬, রাচিন ৪৬, শিবাম দুবে ৫১, রশিদ খান ২/৪৯)।
গুজরাট টাইটানস: ১৪৩/৮ (২০ ওভারে, সুধাসরন ৩৭, মিলার ২১, দিপক ২/২৮, মুস্তাফিজুর ২/৩০, দেশপান্ডে ২/২১, পাথিরানা ১/২৯, মিচেল ১/১৮)।
ফল: চেন্নাই সুপার কিংস ৬৩ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: শিবাম দুবে।