নেপিয়ারে স্থানীয় এক সাংবাদিকের প্রশ্নে নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্রও যেন মনে করিয়ে দিতে চাইলেন তা, ‘দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। কখনো কখনো তারাই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ছিল।’ সৌম্য সরকারের ক্যারিয়ার–সেরা ইনিংসটিই তার আদর্শ উদাহরণ। কিংবা প্রথম ম্যাচে শরীফুল ইসলামের প্রথম স্পেল। রবীন্দ্রও মনে করিয়ে দিলেন, ‘সৌম্য সেদিন যেভাবে খেলেছে, অবিশ্বাস্য। প্রথম ম্যাচে তো শূন্য রানে দুই ব্যাটার সাজঘরে। তারা আমাদের প্রতিনিয়ত চাপে রাখছে। নিজেদের দিনে বাংলাদেশ ভালো দল।’
তবে গত ১৫ বছরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সে দিনটা আসেনি। ঘুরেফিরে শেষ হাসিটা নিউজিল্যান্ডই হেসেছে। কাল শেষ ম্যাচেও তেমনই প্রত্যাশা রবীন্দ্রর, ‘নেলসনে সময়টা ভালো কেটেছে। আশা করছি এখানে (নেপিয়ারে) জয় দিয়েই সিরিজ শেষ করব।’ শেষ ম্যাচে যদি নিউজিল্যান্ড একাদশে পরিবর্তন হয়ও, কিউইদের আত্মবিশ্বাস বদলাবে না, ‘নিউজিল্যান্ড দলে আমার চেয়েও অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। আমরা সবাই নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে চাই। যখনই সুযোগ পাব, সেটা কাজে লাগাতে হবে।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে নিউজিল্যান্ড পূর্ণশক্তির হোক কিংবা খর্বশক্তির, ফল একই। হারের ধরনেও খুঁজে পাবেন সাদৃশ্য। নিউজিল্যান্ড সাদা বলের ক্রিকেট খেলে দারুণ ব্যাটিং–স্বর্গে। ওয়েলিংটন ও ক্রাইস্টচার্চ ছাড়া নিউজিল্যান্ডের প্রায় সব মাঠের সীমানাই ছোট্ট। নিউজিল্যান্ডের ওপরের সারির ব্যাটসম্যানরা সব সময়ই এর পুরো ফায়দা নিয়ে এসেছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কিউইদের ব্যাটিংটাই ম্যাচের ফলাফল ঠিক করে দেয়। স্টিভেন ফ্লেমিং, ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম, রস টেলর, মার্টিন গাপটিলরা নিয়মিতই বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় রান করে গেছেন।