এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
নতুন নতুন উদ্ভাবনীর মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া বা বঞ্চিত জনগোষ্ঠির ভাগ্য উন্নয়নে কাজ শুরু করলো ‘ইনোভেশন ফর ডেভেলপমেন্ট’ ফোরাম। সে লক্ষ্যে ছয়টি স্বনামধন্য উন্নয়ন সংস্থা এই ফোরাম গঠন করা হয়েছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে ছয়টি এনজিও এর পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে ‘ইনোভেশন বুক’ এর মোড়ক উন্মোচনও করা হয়।
ছয়টি এনজিও এর মধ্যে রয়েছে ফ্রেন্ডশিপ, সেভ দ্য চিলড্রেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন, সাইটসেভারস্, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন এবং জপাইগো। ‘ইনোভেশন ফর ডেভেলপমেন্ট’ হচ্ছে এনজিও, সশ্লিষ্ট সরকারী সংস্থা বা দপ্তর, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং সমমনা অন্যান্য সংস্থাগুলোর একটা সাধারণ প্ল্যাটফরম, যেখানে নতুন নতুন উদ্ভাবনীর মাধ্যমে সমাজের দুর্বল জনগোষ্ঠির ভাগ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এতে উপস্থিত ছিলেন ফ্রেন্ডশিপ-এর প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র ডিরেক্টর-অপারেশন্স চন্দন জেড গোমেজ, সেভ দ্য চিলড্রেন-এর ডিরেক্টর পিডিকিউ মো. বেলাল উদ্দিন, সাইটসেভারস্-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার বিএম জাহিদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন এর পরিচালক অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম পিএইডি এবং জপাইগো-এর কান্ট্রি লিড সুশান্ত দোবে। এতে সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সুচিতা শারমিন ছাড়াও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রুনা খান বলেন, “উদ্ভাবন হলো প্রকৃত চ্যালেঞ্জগুলির জন্য কার্যকরী সমাধান খুঁজে বের করা। সবচেয়ে দারুণ উদ্ভাবন তাকেই বলা হয় যেগুলো সাধারণ, মানিয়ে নেওয়া যায় এবং জনগোষ্ঠীভিত্তিক। তবে এককভাবে কেবল উদ্ভাবনই যথেষ্ট নয়। দয়া, বিনয় এবং সহনশীলতা ছাড়া আমরা এমন একটি জাতি গড়ে তুলতে পারবো না যেখানে মানুষ মর্যাদা এবং আশার সঙ্গে জীবনযাপন করবে। প্রকৃত পরিবর্তন তখনই ঘটে যখন মূল্যবোধ এবং উদ্ভাবন একসঙ্গে চলে।”
‘ইনোভেশন ফর ডেভেলপমেন্ট’-এর লক্ষ্য হচ্ছে, প্রাসঙ্গিক উদ্ভাবনে একে অপরের সাথে নতুন উদ্ভাবনী এবং আইডিয়া শেয়ারের সুযোগ সৃষ্টি, নতুন উদ্ভাবনী নিয়ে বিভিন্ন যৌথ আয়োজন, সবার অংশগ্রণের প্রাসঙ্গিক তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন, উদ্ভাবনী প্রকল্প এবং কর্মসূচীর জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ অর্জনের চেষ্টা।