জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মিল্টন কুমার দেব এবং এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী নিশাত মজুমদারকে নিয়ে জুরিবোর্ড গঠন করা হয়। পাঠ প্রতিক্রিয়া যাচাই–বাছাইয়ে সমকালের সাংবাদিক আবু সালেহ রনি, জনকণ্ঠের সাংবাদিক মোরসালিন মিজান ও ভোরের কাগজের সাংবাদিক ঝর্ণা মনিকে নিয়ে গঠন করা হয় প্রাথমিক নির্বাচক কমিটি। সেরা ৩০ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় সনদ, পাঁচ হাজার টাকার বই ও নগদ পাঁচ হাজার টাকা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, এখন ধর্মান্ধতা এত বেশি বেড়েছে যে বই পড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চা কমে যাচ্ছে। পাড়ায় পাড়ায় এখন আর আগের মতো এসব উদ্যোগ নেওয়া হয় না। অন্ধকার থেকে উত্তরণের জন্য বই পড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়াতে হবে।
সূচনা বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী বলেন, প্রকৃত জ্ঞানী হতে হলে, সমাজকে বুঝতে হলে গ্রন্থ পাঠের বিকল্প নেই। সমাজে রক্ষণশীলতা, ধর্মান্ধতা ও আত্মকেন্দ্রিকতার যে বীজ বপন হয়েছে, তা থেকে রক্ষা পেতে হলে গ্রন্থ পাঠ করতে হবে।