এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
গ্রামীণফোনের ফ্রি লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, গ্রামীণফোন একাডেমি এর মাধ্যমে ‘ফ্রিল্যান্সিং ফ্যাক্টরি’ চালু করেছে অপারেটরটি। এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং-এ ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও মেন্টরশিপের সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা।
চাকরির বাজারের ঘাটতি পূরণ, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা উন্মোচনসহ নতুন প্রজন্মকে দক্ষ করে তোলাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণদের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা হবে। ঢাকার জিপি হাউজে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘ফ্রিল্যান্সিং ফ্যাক্টরি’ উদ্যোগের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে একটি ওয়ার্কশপের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের প্রকল্পের কাঠামোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন মেন্টররা। তারা এই উদ্যোগের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার জন্য এই প্রকল্প কীভাবে সহায়ক হবে তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রদান করেন প্রকল্পের নেতৃত্বে থাকা মেন্টররা।
এই প্রোগ্রামে দুটি আলাদা ব্যাচে মোট ৬৪টি ইন্টার্রাক্টিভ অনলাইন ক্লাস অন্তর্ভুক্ত; যা ইউএক্স/ইউআই ডিজাইন ও ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের তিন মাসের মধ্যে ১০০ ডলার আয় এবং আট মাসের মধ্যে ১০০০ ডলার আয় করতে সক্ষম করে তোলাই মেন্টর-নেতৃত্বাধীন এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান ‘ফ্রিল্যান্সিং ফ্যাক্টরি’-এর মতো উদ্যোগের গভীর প্রভাব তুলে ধরেন, যা তরুণদের ক্ষমতায়ন এবং দেশের ফ্রিল্যান্সিং সম্প্রদায়কে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।
গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) হ্যান্স মার্টিন হেনরিক্সন বলেন, এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীদের ৪০ শতাংশই নারী এবং ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী ঢাকার বাইরের, যা একে বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। এই বৈচিত্র্য শুধু শিক্ষার পরিবেশকে সমৃদ্ধ করে না, বরং অন্তর্ভুক্তি ও ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। এটি ফ্রিল্যান্সিং জগতে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।