ফ্রান্সের মায়োতে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব, হাজারো প্রাণহানির আশঙ্কা | চ্যানেল আই অনলাইন

ফ্রান্সের মায়োতে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব, হাজারো প্রাণহানির আশঙ্কা | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ফরাসি দ্বীপ মায়োতে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় চিডো। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে হাজারো মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গত শনিবার আঘাত হানে চিডো। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটারের বেশি। ঘূর্ণিঝড়ের পর জীবিতদের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। ফ্রান্স থেকে উদ্ধারকারীরাও এসে পৌঁছেছেন। এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন, তারা খাদ্য, পানীয় এবং আশ্রয়স্থলের তীব্র সংকটের সম্মুখীন হয়েছেন। মায়োটের রাজধানীর মামুদজুর এক বাসিন্দা বলেন, আমরা তিন দিন ধরে কোনো পানি পাচ্ছি না। তাই অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কারণ, আমরা জানি না আবার কখন পানি ফিরে পাবো। রাজধানীর আরেক বাসিন্দা জন ব্যালোজ জানান, তিনি বেশ অবাক হয়েছেন। কারণ, ঘূর্ণিঝড়ে আটকে পরেও তিনি এখনও বেঁচে আছেন।

মায়োতের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই দ্বীপপুঞ্জে বিপুলসংখ্যক অনিবন্ধিত অভিবাসী রয়েছেন। দ্বীপপুঞ্জের ৩ লাখ ২০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে ১ লাখের বেশি এমন অভিবাসী। তাদের কারণে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা বের করতে ঝামেলা হচ্ছে। মায়োতের প্রিফেন্স (প্রধান কর্মকর্তা) ফ্রাঙ্কোয়িস জেভিয়ারও বলেছেন, মৃত্যুর সংখ্যা কয়েক হাজার হতে পারে।

GOVT

উল্লেখ্য, ফ্রান্সের মূল ভূখণ্ডের বাইরে অবস্থিত অঞ্চলের একটি হলো মায়োত। ভারত মহাসাগরে অবস্থিত মায়োত দ্বীপটি পরিচালিত হয় স্থানীয় প্রশাসন বা ডোম-এর মাধ্যমে। ১৮৪৩ সালে ফ্রান্সের উপনিবেশ শুরু হওয়া এই দ্বীপটির জনসংখ্যা ৩ লাখ ২০ হাজার।

Shoroter Joba

Scroll to Top