সঞ্জয় ভৌমিক
গত কয়েক বছরে আমাদের জীবনযাত্রার অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইন্সটাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপ্লিকেশন। এই জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ, নানা কাজের কাজী এই অ্যাপগুলো ব্যাবহারে অর্থের প্রয়োজন হয় না। সেই সুযোগ বোধহয় আর বেশিদিন থাকছে না। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জ।
দ্য ভার্জের খবর অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকেই আর্থিক সংকটের মুখে রয়েছে ফেইসবুকের মাদার প্রতিষ্ঠান মেটার অধীনে থাকা ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ। সেই আর্থিক সংকটের মোকাবিলা করতে মেটা তার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর জন্য কয়েকটি ‘পেইড’ ফিচার্স আনছে। এবং ফিচারগুলো নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে মেটা। পেইড ফিচার ব্যাবস্থা কার্যকর করার জন্য ‘নিউ মনিটাইজেশন এক্সপিরিয়েন্সেস’ নামে নতুন একটি বিভাগ খোলা হয়েছে। সহজ করে বলতে গেলে, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের নির্দিষ্ট কয়েকটি ফিচার ব্যবহার করতে অর্থ খরচ করতে হবে। তবে কোন কোন ফিচার এর জন্য টাকা নেবে মেটা সেটা এখনও জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
তবে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের কিছু ফিচার ব্যাবহারে যে টাকা লাগবে সেটি আগেই জানিয়েছিলেন, মেটা সিইও মার্ক জাকারবার্গ। এবার একই সুর শোনা গেল মেটার ভাইস প্রেসিডেন্ট জন হেগম্যানের মুখেও। তিনি ভার্জকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মেটা নতুন নতুন পণ্য, বৈশিষ্ট্য এবং অভিজ্ঞতা তৈরি করছে। যেগুলো ব্যাবহার করতে মানুষ অর্থ দিতে চায়।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেইড ফিচার ও সাবস্ক্রিপশনের বিষয়টি নতুন নয়। টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট, টেলিগ্রাম ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পেইড ফিচার সেবা দিয়ে থাকে। টুইটারে এই সেবার নাম- টুইটার ব্লু। স্ন্যাপচ্যাটে নাম স্ন্যাপচ্যাট প্লাস আর টেলিগ্রামে টেলিগ্রাম প্রিমিয়াম। যে ফিচারে বিজ্ঞাপনহীন সেবা, বেশি ডাউনলোড স্পিড, প্রিমিয়াম ভিডিও, স্টিকারসহ বেশকিছু সেবা মেলে।
সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি