স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: কোটা পূরণ না হওয়ায় হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দুই দফা সময় বাড়ানোর পর গত ১৮ জানুয়ারি শেষ হয় হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম। কিন্তু হজ এজেন্সিগুলো নিবন্ধনের সময় আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। সেই প্রেক্ষাপটে নিবন্ধনের জন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আরও আটদিন সময় দিল।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আপনার নিবন্ধন সম্পন্ন করুন। গত বছরের মতো এবারও কোটা অনুযায়ী নিবন্ধন না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো সময় গত ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিলো।
এরপর ওই দিনই ৫৮ শতাংশ কোটা পূরণ না করেই চলতি বছরের হজ নিবন্ধন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আশানুরূপ সারা না পাওয়ায় বারবার নিবন্ধনের তারিখ বাড়ানো হচ্ছিল। এদিকে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ তাদের হজযাত্রীর সংখ্যা জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের হজযাত্রীর সংখ্যা চূড়ান্ত না হওয়ায় বাংলাদেশের নামে মিনায় তাঁবু বরাদ্দ হয়নি। যে কারণে নিবন্ধন বন্ধ করে দিতে হয়েছে। তারপরেও কাঙ্ক্ষিত নিবন্ধন না হওয়ায় তৃতীয়বারের মতো আরেকবার সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, কোটা অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজ করার সুযোগ পাবেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে পারবেন ১০ হাজার ১৯৮টি। আর বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারবেন এক লাখ ১৭ হাজার। সরকারি ও বেসরকারিভাবে হজে যেতে ইচ্ছুকদের জন্য নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর থেকে।
হজ অনুবিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নিবন্ধন শুরু হলেও এবার শুরু হয়েছে নভেম্বর মাসে। এ কারণে হজে যেতে ইচ্ছুকদের ধারণা, সময় বাড়ানো হবে। এছাড়া দেশে নির্বাচন থাকায় নিবন্ধনে সাড়া কম মিলেছে। নির্বাচন শেষে সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ হয়নি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন কোটা পূরণ না করলে পরবর্তীতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ হতে পারে।
সারাবাংলা/জেআর/এনইউ