ফরিদপুরে “নতুন আশার সূর্যোদয়” তিন দিনের  চিত্রকলা প্রদর্শনী

ফরিদপুরে “নতুন আশার সূর্যোদয়” তিন দিনের  চিত্রকলা প্রদর্শনী

পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে জলদস্যুদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভয়াবহ এ ঘটনায় তিনজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে পায়রা বন্দর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে এ হামলা চালানো হয়। আহতদের শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ তিন জেলে হলেন জালাল শরীফ (৫৫), মো. শাহআলম (৪৫) ও মিজানুর রহমান (২৫)। তারা সবাই পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার বাসিন্দা।

আহতদের প্রথমে কলাপাড়া ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় জালাল শরীফকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার ডান চোখে গুলি লেগেছে। অন্য দুজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির চিহ্ন রয়েছে, তারা কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এফবি মা ট্রলারের মাঝি সরোয়ার হোসেন জানান, ১৩ জন জেলে নিয়ে মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে গিয়েছিলেন তারা। ফিরতি পথে পায়রা বন্দর এলাকায় একদল জলদস্যু ট্রলারে গুলি চালায়। এতে তিন জেলে আহত হন। এরপর দস্যুরা অস্ত্রের মুখে বাকি জেলেদের জিম্মি করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয়।

লুট হওয়া সামগ্রীর মধ্যে ছিল প্রায় তিন লাখ টাকার ইলিশ, ১২টি স্মার্টফোন এবং ট্রলারের জ্বালানি তেল। দস্যুরা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় হুমকি দিয়ে বলে, “বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে মেরে ফেলবে।” জেলেরা ট্রলারটি রেখে যাওয়ার অনুরোধ করলে তারা শুধু মালামাল লুট করে চলে যায়।

মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন দাস বলেন, “এফবি মা ট্রলারে জলদস্যুদের ডাকাতির ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বিগ্ন। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।”

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, এখনো এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Scroll to Top