এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে শোক জানাতে আসা সন্দেহে সাধারণ মানুষের মোবাইল ফোন তল্লাশি এবং সব ঘটনার ছবি তোলা কিংবা ভিডিও ধারণ করতে নিষেধ করাকে ‘স্বাধীনতা হরণ’ বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন: সকল প্রকার অন্যায় সিস্টেমকে উপড়ে ফেলার জন্যই ছাত্রজনতার এই বিপ্লব। মানুষের প্রাইভেসি লঙ্ঘন ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ আমরা সমর্থন করি না ৷
এর আগে, ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে শোক জানাতে আসা সন্দেহে উপস্থিত ছাত্র-জনতা পথচারীদের মোবাইল ফোন তল্লাশি করে। কাউকে আওয়ামী ঘরনার সন্দেহ হলেই করা হয় মারধর। এ সব ঘটনার ছবি তোলা কিংবা ভিডিও ধারণ করতে নিষেধ করেন ছাত্র-জনতা।
সরজমিনে দেখা গেছে: সকাল থেকে অন্তত ৪০ জনকে মারধোর করেন উপস্থিত ছাত্র-জনতা। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়। আবার অনেককে মারধোরের পর পাঠানো হয় হাসপাতালে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা।
সকাল থেকে মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণে আপত্তি শুরু করেন উপস্থিত ছাত্র-জনতা। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয় তাদের। পরে হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা হয়, ‘কোনো ছবি তোলা যাবে না, ভিডিও ধারণ করা যাবে না।’
কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী মোবাইল ফোনে ছবি ধারণ করলে তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। পরে ধারণকৃত ছবি ডিলিট করতে বাধ্য করেন উপস্থিত ছাত্র-জনতা।