স্পোর্টস ডেস্ক
বয়স কেবলই ১৭। এর মধ্যেই নাম লিখিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে। তবে এখনই সেখানে যোগ দিতে পারছেন না। বয়স ১৮ হলেই কেবল ইউরোপের জায়ান্টদের হয়ে যোগ দিতে পারবেন। তবে জাতীয় দলের হয়ে খেলার নেই কোনো বাধা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫ বছর পর জয় পেল ব্রাজিল। আর এই ম্যাচের জয়সূচক গোলটি করেছেন ব্রাজিলের তরুণ বিষ্ময়বালক এন্ড্রিক।
ওয়েম্বলিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ড সমর্থকদের সামনে স্নায়ুচাপ সামলানোই যে তার বড় কীর্তি। প্রতিপক্ষে মাঠে ব্রাজিলকে জয় এনে দিয়ে তিনি একাধিক রেকর্ডও গড়েছেন। এরপর থেকে ভাসছেন প্রশংসার জোয়ারে। ‘বিষ্ময় বালক’ এন্ড্রিক চলতি মৌসুম শেষ করেই যোগ দেবেন রিয়াল মাদ্রিদে। আরও দুই বছর আগেই তাকে কিনে রেখেছে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের অন্যতম সেরা দলটি। রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ পাক্কা জহুরির মতো চিনে নিয়েছেন এন্ড্রিককে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিলের ১-০ গোলের জয়টা যে এসেছে তারই পা থেকে। ওয়েম্বলিতে গোল করা সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় এন্ড্রিক।
জর্ডান পিকফোর্ডকে টপকে গোল করার সময় এন্ড্রিকের বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪৬ দিন। ১৯৯৪ সালে ‘দ্য ফেনোমেনন’–খ্যাত রোনালদো নাজারিওর পর ব্রাজিলের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতাও এখন এন্ড্রিক। ১৭ বছর ২২৮ দিন বয়সে রোনালদো নিজের প্রথম গোলটি করেছিলেন। তবে ব্রাজিলের হয়ে কম বয়সী গোলদাতাদের সবার ওপরে আছেন ফুটবলসম্রাট পেলে। ১৬ বছর ২৫৭ দিন বয়সে এই প্রয়াতি কিংবদন্তি গোল করেছিলেন। এরপর ১৬ বছর ৩০৬ দিন নিয়ে দুইয়ে আছেন এডু গাসপার।
২০২২ সালে পালমেইরাসের হয়ে খেলার সময়ই নজরে আসেন এন্ড্রিক। ১৬ বছর বয়সেই গোটা বিশ্বের নজর কেড়ে জানান দেন আগমনী বার্তা। এরপর ইউরোপিয়ান অনেক ক্লাব তাকে ভেড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। তবে শেষমেশ বেছে নেন রিয়াল মাদ্রিদকে।
ব্রাজিলের হয়ে গোলের পর প্রশংসায় ভাসছেন এন্ড্রিক তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম গোলে। এন্ড্রিক গোল করেই কেঁদেছেন উচ্ছ্বাসে, জানিয়েছেন– ‘এটি অনন্য অনুভূতি, এখনও হজম করে ওঠার চেষ্টা করছি। আমার পরিবার আছে এখানে, আমার বান্ধবী, এজেন্ট, সবাই আছে। আমি এমন নই যে খুব কান্নাকাটি করি, নিজেকে সামলে রাখছি। তবে সত্যিই এটা অনন্য এক অনুভূতি, আমি খুবই খুশি।’
পরবর্তীতে ব্রাজিল কোচও তাকে নিয়ে দারুণ সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। ব্রাজিলের কোচ হয়ে আসার পর জয় দিয়ে শুরু করা প্রথম ম্যাচের পর দরিভাল জুনিয়র বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সে যে মানসিকতা দেখিয়েছে, তা যদি ধরে রাখতে পারে, তাহলে সে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ও বিশ্ব ফুটবলের খুবই গুরুত্ব নাম হবে।’
ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেটও তার প্রশংসা করেছেন, ‘আমরা জানি এন্ড্রিক ভয়ঙ্কর খেলোয়াড়। সে গোল করার পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানে। তবে আমরা রক্ষণে যেরকম ভূমিকা রেখেছি, তারচেয়েও ভালো করতে পারতাম। এটি তার জন্য দুর্দান্ত মুহূর্ত। আমরা তাদের মতো বেশ কয়েকবার গোলের চেষ্টা করেছি, কিন্তু শেষমুহূর্তে গিয়ে সেই নিষ্ঠুর পরিস্থিতি এলো, যা ম্যাচের ফল পাল্টে দিয়েছে।’
সারাবাংলা/এসএস