প্রবাসী আয় বাড়াতে হুন্ডি ঠেকানোর উপায় কী

প্রবাসী আয় বাড়াতে হুন্ডি ঠেকানোর উপায় কী

ষষ্ঠত, অর্থ পাচার, রাজনৈতিক অস্থিরতা অভিবাসীদের মনোজগতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। সিএমএসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে একদল অভিবাসী বলেন, ‘সরকার আমাদের বৈধ পথে টাকা পাঠাতে বলে, অথচ পত্রপত্রিকা খুললে দেখি প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। আমাদের থেকে বারবার দেশপ্রেম আশা করে সরকার। আমরা তো চাই, আমার টাকা দেশেই থাকুক। অথচ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে? আমাদের পাঠানো টাকা তো পাচার হয়ে যাচ্ছে।’

দেশ ও দেশের অর্থনীতি নিয়ে অভিবাসীদের পরিষ্কার কোনো ধারণা নেই। অথচ এই ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

সপ্তমত, স্বল্প আয়ের প্রবাসী কর্মীদের সরকারিভাবে যে প্রণোদনা দেওয়া হয়, তা কি যথেষ্ট? সিএমএসের গবেষণায় উঠে এসেছে, ফিলিপাইন ও নেপালের অভিবাসীরা দেশে ফিরলে তাঁদের সাদর অভ্যর্থনা জানানো হয়। দেশে কোনো ঝামেলায় পড়লে তাঁরা যেন সহজে যোগাযোগ করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হয়। ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের দেশে ফেরত অভিবাসীদের জন্য বিভিন্ন অঞ্চলে চাকরির মেলা করা হয়। তাঁরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উদ্বুদ্ধ হন। 

অন্যদিকে বছরের পর বছর দেশে নিয়মিত রেমিট্যান্স পাঠানো প্রবাসীদের জন্য দেশে তেমন কিছুই নেই। সব মিলিয়ে বৈধ পথে টাকা পাঠাতে কোনো উৎসাহমূলক পরিবেশ কি দেশে আছে?

আরেক দল প্রবাসীর সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে, হুন্ডি ব্যবসায়ীদের অনেকেই ভারতীয়, যাঁরা বাংলাদেশে নিয়মিত টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেন। তাঁরা অভিবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে স্বল্প খরচে দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। বিভিন্ন উপলক্ষে তাঁরা শ্রমিকদের আর্থিক উপহার দেন। এই ভারতীয় ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিস্তৃত। এ পরিস্থিতিতে সরকার কি যথেষ্ট পদক্ষেপ নিতে পেরেছে?

Scroll to Top