লাইফস্টাইল ডেস্ক
পা ফোলা ও ব্যথায় অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ভোগেন। অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করার ফলে কারও কারও পা ফুলে যেতে পারে। এছাড়া দূরে ভ্রমণ করলে অনেকক্ষণ বসে থাকতে হয়, যার কারণে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আমাদের শরীরের টিস্যুগুলোতে পানি জমে গেলে পা ফুলে যায়। ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
সেঁক
পা ফুলে গেলে কখনও কখনও ব্যথা হতে পারে। এই অস্বস্তি দূর করতে হলে কুসুম গরম ও ঠান্ডা পানি দিয়ে নিয়মিত পায়ে সেঁক দিকে পারেন।
পদ্ধতি
দুটি গামলার একটিতে কুসুম গরম পানি এবং আরেকটিতে ঠান্ডা পানি নিতে হবে। প্রথমে গরম পানিতে দুই পা ভিজিয়ে রাখতে হবে ৩ থেকে ৪ মিনিট। এরপর ১ মিনিট ঠান্ডা পানিতে রাখতে হবে। এইভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যায়ক্রমে ঠান্ডা ও গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর তোয়ালে দিয়ে পা মুছে নিতে হবে। অলিভ অয়েল লাগিয়ে ৫ মিনিট ধীরে ধীরে মাসাজ করতে হবে। প্রতিদিন গোসল করার পর এভাবে সেঁক নিলে পা ফোলা ও ব্যথা কমে যাবে।
পায়ের মাংসপেশীতে ব্যথা, কালসিটে ভাব ও দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
অনেকে মাংসপেশীতে ব্যথা অনুভব করেন। আবার বাইরে রোদ ও ধুলাবালিতে ঘোরাঘুরি করলে পায়ে কালসিটে পড়ে ও দুর্গন্ধ হয়। এক্ষেত্রে ঘরোয়া একটি উপায় এই সমস্যাগুলো থেকে সমাধান দিতে পারে।
একটি বড় গামলায় কুসুম গরম পানি নিতে হবে। এতে হাফ কাপ পরিমাণ লবণ (ইপসাম সল্ট) দিতে হবে। এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সপ্তাহে তিনদিন এইভাবে সেঁক নিতে পারলে পায়ের সমস্যাগুলো থাকবে না।
আদা
আদা অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। পায়ের ফোলা ভাব কমাতে আদা কার্যকরী। এজন্য আদা তেল বানিয়ে প্রতিদিন পায়ে মেসেজ করতে হবে। এছাড়া দিনে ২/৩ কাপ আদা চা খেলে উপকার পাবেন।
ব্যায়াম
ব্যায়াম করলে পায়ের ফোলা ভাব দূর হয়ে যায়। প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করতে হবে। এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকবে। নিয়মিত সাঁতার, ইয়োগা, হাঁটাহাঁটি ও পায়ের বিশেষ ব্যয়ামগুলো করলে ভাল উপকার পাবেন।
ফুড সাপলিমেন্ট
শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব থাকলে পা ফোলা কিন্তু কমবে না। এজন্য ফলমূল, শাক-সবজি, মাছ, কলা, সয়াবিন, ডার্ক চকলেট ও নারকেল খেতে হবে নিয়মিত। এছাড়া ডাক্তারের পরামর্শমত ম্যাগনেসিয়াম সাপলিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে।
পা সবসময় সোজা করে রাখবেন। একটানা অনেকক্ষণ বসে থাকা যাবে না। দূরে ভ্রমণের সময় মাঝে মাঝে পা ভাজ করতে হবে। কাঁচা লবণ ও ক্যাফেইন যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। তাজা শাকসবজি ও ফলমূল বেশি খেতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
সারাবাংলা/এসবিডিই