আর বন বিভাগ বলছে, বন্য পাখি থেকেই বার্ড ফ্লু ছড়ায়। তারা কি জেনেশুনেই খাচ্ছেন, নাকি সাতপাঁচ না ভেবেই এই বিষ গিলছেন।
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে প্রতিবছর শীতের শুরুতেই পরিযায়ী পাখিরা চলে আসে। এই চর একসময় পরিযায়ী পাখিদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছিল। সারা দেশ থেকে এমনকি দেশের বাইরে থেকেও পাখিপ্রেমীরা ক্যামেরা নিয়ে ছুটে আসেন রাজশাহীর পদ্মায় পাখি দেখার জন্য।
যে পাখিটি দেশের কোথাও দেখা যায়নি, সেটা রাজশাহীতে দেখা যায়। এমন অনেক ঘটনা আছে। প্রায় এক ডজন নতুন পাখিও দেখা গেছে রাজশাহীতে। এদের পাখিবিশেষজ্ঞরা নতুন নাম রেখেছেন।
শীত শেষে পাখিরা আবার ফিরে যায়। এই শীতের সুযোগের জন্য ওত পেতে থাকেন পাখিশিকারিরা। পাখি মারার সহজ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে বিষটোপ। তারা ভোররাতে মাছের পেটের মধ্যে বিষ ঢুকিয়ে দিয়ে পদ্মার চরে ছিটিয়ে দিয়ে জাল নিয়ে অপেক্ষা করেন। পাখিরা এই মাছ খেয়ে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ঢলে পড়ে। তখন শিকারি এসব পাখি ধরে জবাই করে তাঁদের নির্ধারিত ক্রেতাদের কাছে গোপনে সরবরাহ করেন।