বুধবার রাতে থেকেই ক্রিকেট পাড়ায় জোর আলোচনা বিসিবি সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন ফারুক আহমেদ। মূলত গতকাল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে এক বৈঠকের পরই চাউর হয় এই খবর। সেই বৈঠকের পর ফারুক আহমেদ আজ (বৃহস্পতিবার) নিজে জানান, বিসিবির শীর্ষ পদে বদলের কথা ভাবছে সরকার। তবে বিসিবি সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফারুক।
একাধিক সংবাদ মাধ্যমকে ফারুক বলেন, ”আমার অফিসিয়াল বক্তব্য হচ্ছে, এই মুহূর্তে চিন্তা করছি। কালকে তো কথা হলো, আমি এখনো চিন্তা করছি। কিছু সময় প্রয়োজন। আমি কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না, ঠিক কী কারণে পদত্যাগ করব। আমাকে পদত্যাগের কথা বলা হয়নি।’
পদত্যাগ করতে না চাওয়ার নেপথ্যে ফারুক বলেছেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি পদত্যাগ করব না। আমাকে বলা হয়েছে, সরকার নাকি আমাকে আর বিসিবি সভাপতি হিসেবে রাখতে চাইছে না। কিন্তু কেন রাখতে চাইছে না, সেটার কোনো কারণ তারা আমাকে বলেনি। বিনা কারণে তো আমি পদত্যাগ করতে পারি না।’
গত ০৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বড়সড় বদল আসে বিসিবিতেও। দেশ ত্যাগ করেন তৎকালীন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন-সহ বোর্ডের একাধিক পরিচালক। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক মনোনীত হয়ে বিসিবিতে পরিচালক হিসেবে আসেন ফারুক আহমেদ। পরে পরিচালকদের ভোটে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। একই প্রক্রিয়ায় পরিচালক হয়ে বিসিবিতে আসেন নাজমুল আবেদীন ফাহিমও, যিনি বর্তমানে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান হিসেবে।
এসবের ডামাডোলে গতকাল থেকেই খবর ছড়িয়ে পড়ে ফারুক আহমেদকে সরিয়ে বিসিবির অন্তর্বর্তীকালী সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হতে পারে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে। জানা গেছে আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় বিসিবি নির্বাচন পর্যন্ত তাকে দায়িত্ব দিতে চাইছে সরকার। এনএসসির মনোনয়ন নিয়েই তাকে আনা হতে পারে বিসিবিতে। অবশ্য এই প্রসঙ্গে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি কিছুই।
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান বুলবুলও জানিয়েছেন দেশের প্রয়োজনে যেকোনো দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত তিনি।