মোকাদ্দেসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তানাজ খুব মেধাবী ছাত্রী ছিল। জেএসসি পরীক্ষায় সে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এ বছর তানাজ এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। পরীক্ষায় সে ভালো ফলাফলের আশা করেছিল। ভবিষ্যতে তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিল। এ জন্য সে তার অসুস্থ মায়ের (মনিরা বেগম) ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা করে দিত। কিন্তু দুর্ঘটনায় পরিবারের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে।
হাসপাতালে কান্নারত অবস্থায় তানাজের নানি কামরুন্নাহার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার এই নাতনিরে ১৬ বছর লালন-পালন করলাম। কিন্তু রক্ষা করতে পারলাম না। দুর্ঘটনা ওর ছোট ভাইয়ের প্রাণটাও কেড়ে নিছে।’