২০২২ সালে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের সময় নারীদের লক্ষ্যবস্তু করে দমন-পীড়ননীতি চালিয়েছে ইরান-জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের এমন প্রতিবেদনের নিন্দা জানিয়েছে তেহরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি শনিবার (৯ মার্চ) বলেছেন, ‘প্রতিবেদনটি ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও পক্ষপাতমূলক তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। কোনও আইনি ভিত্তি ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে এটি।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পোশাক কোড লঙ্ঘনের দায়ে আটক মাহসা আমিনির পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
কানানি আরও বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ কমিটি শুধু সত্যই প্রতিষ্ঠা করেনি, বরং এটি ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য বিকৃত করেছে।’
প্রথম প্রতিবেদনে জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন শুক্রবার বলেছে, ‘ইরানের অনেক অপরাধ মানবতাবিরোধী। এর মধ্যে রয়েছে খুন, কারাবাস, নির্যাতন, ধর্ষণ, নানা ধরণের যৌন সহিংসতা, নিপীড়ন, জোরপূর্বক গুম এবং অন্যান্য অমানবিক কাজ।’
ওই প্রতিবেদনে ইরান কর্তৃপক্ষকে বিক্ষোভের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কানানি দাবি করেছেন, ‘প্রতিবেদনটি ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু পশ্চিমা দেশ দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছিল, যারা ইরানের মানহানির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৫৫১ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে, যারা অপ্রয়োজনীয় এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ শক্তি ব্যবহার করেছে। কয়েক ডজন লোক অন্ধ হয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, ‘আমিনির মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করার পরিবর্তে তেহরান সক্রিয়ভাবে সত্যকে অস্পষ্ট করেছে।’
জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি আগামী ১৫ মার্চ কাউন্সিলে উপস্থাপন করা হবে।
এদিকে চলতি সপ্তাহে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্ট করেছে যে, ইরানি কর্তৃপক্ষ বাধ্যতামূলক হিজাব আইন কার্যকর করার জন্য একটি গণপ্রচারণা শুরু করেছে এবং জনসাধারণের জায়গায় নারী ও মেয়েদের ব্যাপক নজরদারি চালু করেছে।