ইনোভিশন কনসাল্টিংয়ের ‘পিপলস ইলেকশন পালস সার্ভে’ ঠিক এখানেই গুরুত্বপূর্ণ। এর লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক আবহের ভেতরের চিত্রটা তুলে আনা। এমন কিছু তথ্য দেওয়া, যা ব্যবহার করে বিভিন্ন অংশীজন (স্টেকহোল্ডার) নিজেদের নীতি ও কৌশল ঠিক করতে পারবেন। আর যখন জনগণের মতামত বা ‘পালস’ বুঝে নীতি তৈরি হয়, তখন সেই নীতি হয়ে ওঠে জনমুখী। এই লক্ষ্য নিয়েই ইনোভিশন ‘পিপলস ইলেকশন পালস সার্ভে’ (পিইপিএস) হাতে নিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে আমরা একটি পাইলট বা পরীক্ষামূলক জরিপ করি। এরপর ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ জরিপ চালাই। এই জরিপটিই আমাদের প্রথম পর্ব বা রাউন্ড-১। এরই ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বর ২-১৫ তারিখ দ্বিতীয় রাউন্ডের জরিপ চালানো হয়। এর ফলাফল গত সপ্তাহে আমরা দুই ভাগে প্রকাশ করেছি।
২১ সেপ্টেম্বর প্রথম ভাগে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে মানুষের ধারণা, নির্বাচনী সহিংসতা, ভোট দেওয়ার ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তাবিত সময় নিয়ে ভোটারদের মতামত তুলে ধরেছি। এরপর ২৪ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ভাগে আমরা জানিয়েছি, ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা কী, মানুষ কী দেখে ভোট দেবে, কোন দলকে বেছে নেবে, সরকার গড়ার জন্য কোন দলকে সবচেয়ে উপযুক্ত মনে করে এবং দলগুলোর স্থানীয় রাজনীতি নিয়ে মানুষ কতটা সন্তুষ্ট।
জরিপের ফলাফল প্রকাশের পর রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতৃত্ব, গণমাধ্যম, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এমনকি সাধারণ মানুষ—সব মহলেই ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। আমাদের কাছে অসংখ্য ফোন কল আর প্রশ্ন এসেছে। মানুষ ফলাফল নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চাইছে, ডেটা নিয়ে আরও গভীরে যেতে চাইছে। যে দেশে ডেটা ও গবেষণার ওপর মানুষের ভরসা কম, সেখানে এমন সাড়া পাওয়াকে আমরা বিরাট সাফল্য বলে মনে করছি। এই লেখায় আমরা আপনাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দেব। পরের লেখায় আমরা এই ফলাফল নিয়ে আমাদের নিজস্ব মূল্যায়ন তুলে ধরব।